মারুফ ইসলাম ইফতি »
ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট হাতে ঝড় তোলার সামর্থ্য সবারই জানা।নিজের দিনে প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপকে তচনচ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব।গতকাল বঙ্গবন্ধু বিপিএলের কোয়ালিফায়ারে মিরপুরের দর্শকরা সাক্ষী হলো আরো একটি রাসেল টর্নেডোর।গতকাল মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মাত্র ২২ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৭ ওভার বাউন্ডারিতে ৫৪* রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে তুলেছেন ফাইনালের মঞ্চে।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী রয়েলসের জন্য একটা মুহুর্তে জয় পাওয়াটা ছিল
আকাশের চাঁদের মতো।৮৩ রান তুলতেই যখন টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে পরাজয় চোখ রাঙ্গাচ্ছিল, ঠিক তখনি দলের ত্রয়ী হয়ে উইকেটে আগমন হয় রাজশাহী কাপ্তান আন্দ্রে রাসেলের।পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে নিজের ছায়া হয়ে থাকা রাজশাহীর কাপ্তান দলকে তুলে পরাজয়ের খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন ফাইনালের মঞ্চে।রাসেল যখন উইকেটে এসেছিলেন তখন জয়ের জন্য রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩২ বলে ৮১ রান।এমন অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য রাসেলের ঝড় ব্যাতীত আর কোন রাস্তা খোলা ছিল না রাজশাহীর।অবশেষে অধিনায়ক উইকেটে এলেন আর চট্টগ্রামের বোলারদের উপর ঝড়ও বইয়ে দিলেন।রাসেলের টর্নেডো ইনিংসের উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪ বল ও ২ উইকেট হারিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে রাজশাহী রয়েলস।
ম্যাচ শেষে রাজশাহীকে ফাইনালে তোলার নায়ক আন্দ্রে রাসেলকে রসিকতার স্বরে সাংবাদিকরা জিজ্জেস করেছিল আপনি কি খেয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেনঃ আমি ব্যাটিংয়ে নামার আগে কিছু ফল খেয়েছিলাম আর সাথে ডাবের পানি।
এছাড়া দারুণ এই জয়ের ব্যাপারে রাসেল আরো বলেনঃ আসলে ম্যাচটা কোনভাবে সহজ ছিল না যখন আমি উইকেটে গিয়েছিলাম।তবুও দলের এমন পরিস্থিতিতে কেউ একজনকে উইকেটে টিকে থেকে ম্যাচ শেষ করে আসার চ্যালেঞ্জ নিতে হয়, আর আমি এমন চাপের মুখে চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি।যখন কোন ওভারে ১২-১৩ কিংবা ১৫-১৬ রান নিতে হয় এমন পরিস্থিতি আমি উপভোগ করি ব্যাটিংয়ে।