যে কারণে আমিরকে থাপ্পর মেরেছিলেন আফ্রিদি

https://scontent.fdac4-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/36386236_2027432020601594_1928619179817041920_n.jpg?_nc_cat=104&_nc_eui2=AeFY40879vpUlXD3TvLuwunYiYPt9keMWugjnmsYPL9A2_cQ-azY1GmWWQy36LFNFzNLAU2kdDYB9vV9Qwdjt7cfxuFbw0DGkcoiJ24B4pOm6Q&_nc_ht=scontent.fdac4-1.fna&oh=926e9b4229d9f6e3ffd66fe5510e3767&oe=5D672D33 »

মোহাম্মদ আমিরের বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর। সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া পেসার আমিরের গতিতে মুগ্ধ তখন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব তখন ছিল সালমান বাটের কাছে।

২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ঘটে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা ফিক্সিং। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ওই ঘটনার মূল ভিলেন ছিলেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ এবং তৎকালীন ১৮ বছর বয়সী আমির। সম্প্রতি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আব্দুল রাজ্জাক এক সাক্ষাৎকারে জানান আমিরের ফিক্সিংয়ের ঘটনা জানতে পেরে তাকে থাপ্পর মেরেছিলেন আফ্রিদি।

রাজ্জাক বলেন, ‘আফ্রিদি আমাকে বলেছিল আমি যেন তাদেরকে রুমে একা ছেড়ে দেই। এর একটু পর আমি বাইরে থেকে থাপ্পরের আওয়াজ শুনতে পাই। আফ্রিদির ওই থাপ্পর খাবার পর সব ঘটনা আমির খুলে বলে।’

এতো গেল আমিরের কথা। রাজ্জাক আরও জানান ইংল্যান্ড সিরিজের আগে থকেই ফিক্সিং করে আসছিলেন সালমান বাট। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাবনার কথা আফ্রিদিকে জানানোর পর সে এটাকে ভ্রান্তি বলে উড়িয়ে দেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যখন আমি বাটের সাথে ব্যাটিং করছিলাম তখন বুঝতে পারছিলাম সে দলকে ডুবাচ্ছে। এবং আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম বাট ম্যাচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলছে না।’

‘যখন আমি বুঝতে পারি একটা কিছু হচ্ছে তখন সরাসরি তাকে বলি আমাকে স্ট্রাইক দিতে। এমনকি সে আমাকে কয়েক ওভার পর্যন্ত দুই-তিন বল ডট খেলে আমাকে স্ট্রাইক দিত। আর আমি চাপে পড়ে আউট হয়ে যেতাম।’– বলেন রাজ্জাক।

উল্লেখ্য, লম্বা সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকার পর পুনরায় দলে এসে বিশ্বকাপ খেলছে আমির। তবে সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফ আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »