ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের অধিনায়করা।

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

ম্যাচ পাতানো শব্দটির সাথে বেশ পরিচিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। ক্রিড়া জগৎ বিশেষ করে ক্রিকেটের জন্য এক কালো থাবা বলা চলে। অগণিত প্রতিভা হারিয়ে গেছেন জুয়ারিদের এই কালো বাজারে। সালমান বাটের ইতিহাস সবার মনে থাকারই কথা।

যার শুরুটা হয়েছিলো প্রায় ২ দশক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হেনসি ক্রনিয়ের হাত ধরে। আর সর্বশেষ আলোচিত ফিক্সিং কার্যক্রম বাংলাদেশী অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা। মাঝে অনেক ক্রিকেটার ঝরে পরেছেন ক্রিকেট থেকে। আবার মোহাম্মদ আমেরের মত ক্রিকেটাররা আবারও মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সব কিছু ভুলে।

তবে সাম্প্রতি ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ২০ বছর পূর্তির আগে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট এর মহা ব্যাবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল।

 

গত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও নাকি ৬ অধিনায়কের কাছে প্রস্তাব এসেছিলো ম্যাচ পাতানোর। তবে অধিনায়কদের নাম প্রকাশ করেনননি তিনি। এছাড়াও বর্তমানে এ ধরনের ৫০ টি অভিযোগের তদন্ত চলমান বলে জানান তিনি।
মার্শালের ভাষায়, ‘আমরা এখন আগের থেকে বেশি সহোযোগিতা পাচ্ছি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। বিভিন্ন ক্রিকেটারকে প্রস্তাব করেছিলো বিভিন্ন টি২০ ইভেন্টে ম্যাচ পাতানোর ব্যাপারে। যদিও সেগুলোর কোনটিই বিশ্বকাপের ছিলোনা তাই বলতেই পারি বিশ্বকাপ ছিলো নিষ্কলুষ। বিশ্বকাপের ৬জন অধিনায়ক আমাদের কাছে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ পাওয়ার রিপোর্ট করেছে।’

সাধারনত জুয়ারিরা বেশিভাগ টার্গেট করে অধিনায়ককে। মাঠের ভিতরে অধিনায়কের কাছেই থাকে অনেক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে টি২০ ম্যাচ গুলোতে টার্গেট করে তারা। এ বিষয়ে মার্শাল বলেন, ‘জুয়ারিরা অধিনায়কদের টার্গেট করে। কারন মাঠে তারা অনেক সিদ্ধান্ত নেয়। কে আগে ব্যাটিং করবে বা কে পরে এগুলোর জন্য। বিশেষ করে টি২০ ম্যাচে। জুয়ারিরা অনেক সচ্ছল থাকে। তারা অনেক টাকা ঢালতে পারে। তাই আর্থিক ভাবে দূর্বল দলকে টার্গেট করে তারা। বর্তমানে কিছু দলের উপর টার্গেট আছে। তদন্ত চলমান আছে। অনেককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

তবে তিনি ম্যাচ পাতানোর ঝুঁকি থেকেও সরে যেতে চাচ্ছেনা। তাদের নজরদারি আরও কঠিন হবে বলেই জানিয়েছেন মার্শাল।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »