নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের অন্যতম এক ভরসার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে তার আবির্ভাব ঘটে।
এরপর ভারতের সাথে ওয়ানডে দিয়ে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়। তার বিশেষ কাটার বল দিয়ে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারে বিধায় তার নামের সঙ্গে কাটার মাস্টার উপাধি যোগ হয়ে যায়। সকলে তাকে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেই চেনে।
২০১৬ সালে ইনজুরিরতে পড়ে কাটারের ধার আগের মতো নেই। ২০১৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ কাটার মাস্টারের প্রথম বিশ্বকাপ। এর আগে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেললেও ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবারই প্রথম।
এর আগে খেলবেই বা কি করে মোস্তাফিজুর রহমানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই তো হয়েছে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর। বাংলাদেশ দলের ভক্তরা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে সবসময় একটু বেশি প্রত্যাশা করে। তবে বিশ্বকাপের আগে মোস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স সকলের মনের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করে যে মোস্তাফিজুর রহমান পারবে কিনা।
তবে বিশ্বকাপে মোস্তাফিজুর রহমান তার সেরাটা দিয়ে লড়ে গিয়েছেন তার ফলস্বরূপ ২০১৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে শীর্ষে মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুরো টূর্ণামেন্টে বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে।
আশা করা যাচ্ছে বিশ্বকাপ শেষে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ- ২০১৯ এর শীর্ষ ৫ বোলারদের একজন থাকবে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
আসুন এবার দেখে নেয়া যাক কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের এবারের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স;
ম্যাচ: ৮
ইনিংস: ৮
ওভার: ৭২.১
মেডেন: ২
রান: ৪৮৪
উইকেট: ২০
সেরা বোলিং: ৫/৫৯
গড়: ২৪.২০
ইকোনমি: ৬.৭০
স্ট্রাইক রেট: ২১.৬
৫ উইকেট: ২ বার
যদি ইকোনমির দিকে লক্ষ্য করে থাকেন তবে মোস্তাফিজ একটু পিছিয়ে। তবে যদি উইকেটের দিকে লক্ষ্য করেন তবে মোস্তাফিজ উইকেট নিতে কোনো কার্পণ্য করেননি। এমনকি টানা দুই ম্যাচে দুইবার ৫ উইকেট নিয়েছে। ইনজুরি ও অফফর্মের কারণে ভক্তরা এতটা আশা করেনি মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে।
তবে মোস্তাফিজ তার শতভাগ দিয়ে লড়াই করে গিয়েছে এবং সেরাটা দিয়ে সাফল্য এনেছে। মোস্তাফিজের এমন বোলিং সবসময় বজায় থাকুক এবং বাংলাদেশ দলকে সাফল্য এনে দেন কাটার মাস্টার। এই মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ দলের একটি বড় সম্পদ। মোস্তাফিজুর রহমানের সাফল্য অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভালো কিছু অর্জন করবে।