মুশফিক ভক্ত “রবির” উপহারে হতদরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি!

মারুফ ইসলাম ইফতি »

“তুমি আমার অভাবী বান্দাদের জন্য নিজ উপার্জন থেকে খরচ করো, আমি আমার এই ভান্ডার থেকে তোমাকে দিতে থাকবো।

কাগজের উপর মহান আল্লাহতালার এই মহা মুল্যবান বানী এবং সাথে একটি থলে, আর সেই থলের ভিতর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।থলের ভিতরের ওই দ্রব্য গুলোর নামকরন করা হয়েছে উপহার সামগ্রী।আর সেই উপহারের থলেটি স্বস্তির নিশ্বাসের সাথে সাথে একটি অসহায় পরিবারের মুখে একনিমিশে ফুটিয়ে তুলেছে খুশির হাসি।যে হাসি অমুল্য।

হুবুহ ঠিক এইভাবে আজ একগাদা অমুল্য হাসি কিনে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিমের আইকনিক ফ্যান মোহাম্মদ রবি।যে অমুল্য হাসি গুলো রবিকে দিয়েছে মানসিক প্রশান্তি এবং অনুপ্রেরণা।

এইতো কিছুদিন আগের কথা। ব্যতিক্রমধর্মী মহৎ এক উদ্যেগে নিজ এলাকা খুলনায় সুবিধাবঞ্চিত কয়েকটি প্রতিবেশী পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমের পাগল ভক্ত মোহাম্মদ রবি।সেবার মুশফিকুর রহিম থেকে নিজের জন্য প্রাপ্ত অনুদানের অর্থ থেকে, নিজের মতো হতদরিদ্র কয়েকটি প্রতিবেশী পরিবারের সাথে ভালবাসা ভাগাভাগি করে মানবতার মহান এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন রবি।যার জন্য  নিজের আদর্শ  স্বয়ং মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকেও পেয়েছিলেন সাধুবাদ ও অনুপ্রেরণা।

আবারো একই ভাবে করোনার এই পরিস্থিতিতে সংগ্রাম করতে থাকা আরো কয়েকটি প্রতিবেশী পরিবারকে সাহায্য করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি।সাহায্যের ধরন পূর্বের ন্যয়ে একইরকম হলেও, তার মধ্যে লুকিয়ে আছে এমন একটি মহানুভবতার গল্প যেটা নিঃসন্দেহে সমাজের বিত্তবানদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে।

মুশফিক ভক্ত “রবি” আবারো নিজ এলাকায় কিছু হতদরিদ্র পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী  আজ নিজ এলাকায় প্রথম ধাপে উপহার সামগ্রী হাতে তুলে দিয়েছেন অসহায় কিছু পরিবারের কাছে।

তবে এবার আর নিজের প্রাপ্ত অনুদান থেকে নয়, এবার রবির এই উপহারের থলে গুলোর আর্থিক যোগানদাতা রবি নিজেই।প্রতিবেশী দরিদ্র পরিবার গুলোকে ভালবাসার উপহার হাতে তুলে দিতে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়েছেন রবি।আজ নিজ এলাকায় প্রথম ধাপে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছেন তিনি।আগামীকাল একইভাবে দ্বিতীয় ধাপে উপহার সামগ্রী বাকী পরিবার গুলো কাছে পৌঁছে দিবেন তিনি।

মহৎ এই উদ্যেগের নায়ক, মুশফিক ভক্ত রবির কাছে তার এই সাহসী উদ্যেগের ব্যাপারে জানতে চাইলে নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোরকে রবি জানান: আমার প্রতিবেশী পরিবার গুলো খুব কষ্টে জীবনযাপন করছে।আমি তাদের এই দারিদ্রতার কষ্টের গভীরতা কেমন খুব ভালভাবে জানি।কারন আমিও তাদের সারির একজন।আমার প্রিয় ভাই মুশফিকুর রহিমের ভালবাসায় আমি আমার পরিবার নিয়ে করোনার এই ক্রান্তিকালে আলাহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।ভক্ত হিসেবে মুশফিক ভাইকে আমি সবসময় সব কিছুতে অনুসরণ করার চেষ্টা করি।করোনার এই সময়ে মুশফিক ভাই অনেক দরিদ্র পরিবারকে সাহায্য করেছেন, তার ভক্ত হিসেবে তাকে অনুসরণ করে আমিও আমার তৌফিক অনুযায়ী আমার আশেপাশের কয়েকটা পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।এই উপহার সামগ্রী আমার পক্ষ থেকে নয়, এই উপহার সামগ্রী গুলো মুশফিক ভাইয়ের উপহার হিসেবে আমি পরিবার গুলোর কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমি আজকে আমার এলাকার কয়েকটি পরিবারের কাছে মুশফিক ভাইয়ের উপহার পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল দ্বিতীয় ধাপে আমি আরো কয়েকটি পরিবারের কাছে মুশফিক ভাইয়ের উপহার পৌঁছে দিবো

নিজ অর্থায়নের ত্রান সামগ্রী, মুশফিকুর রহিমের উপহার! এই নামে বিতরন করার কারন জানতে চাইলে মুশফিক ভক্ত রবি বলেন: হ্যাঁ অর্থ আমার, কিন্তু সৎভাবে অর্থ উপার্জন করার এই রাস্তাটা মুশফিক ভাইয়ের হাত ধরে চিনেছি।আমি রবি এখন অনেকের কাছে মুশফিক ভক্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।কিন্তু আমার অতিত এমন ছিল না।মুশফিক ভাই আমার জীবন বদলে দিয়েছেন  তার আন্তরিকতা ও ভালবাসায় আমার একজন অভিভাবক হয়ে। সৎ ভাবে উপর্জন করার এই প্লাটফর্মটা মুশফিক ভাইয়ের কারনেই হয়েছে।তাই আমি মুশফিক ভাইয়ের একজন প্রতিনিধি হিসেবে শুধুমাত্র ওই পরিবার গুলোর রিজিক তাদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছি।প্রতিবেশী হিসেবে আমার প্রতি তাদের হক রয়েছে।এই উপহার সামগ্রীর জন্য ব্যয়কৃত অর্থ আমার ঠিকই,কিন্তু সৎভাবে অর্থ উপার্জন, মানুষকে সাহায্য করার এই শিক্ষা গুলো আমি মুশফিক ভাই থেকে শিখেছি। তাই তাদের কাছে আমার পৌঁছে দেওয়া উপহার গুলোর পরিচয়ে আমার নাম নয়, মুশফিক ভাইয়ের নামটাই ভাল মানায়।

মুশফিকুর রহিমের আইকনিক ফ্যান “রবি” আবারো প্রমাণ করে দিলেন, মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য
বিত্তবান হওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন শুধু সুন্দর মানসিকতার।নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান রবি তার এই মহৎ উদ্যেগের মাধ্যমে সমাজের বিত্তবানদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, শুধু ধন থাকলে হয়না, একটা বড় মনও থাকতে হয়।

“নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোর” পরিবারের পক্ষ থেকে মানবতার ফেরিওয়ালা “রবিকে” ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি “রবির” এই গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজের তৌফিক অনুযায়ী করোনার এই সময়ে, সংগ্রাম করতে থাকা পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ানোর আকুল আবেদন জানাই সমাজের সামর্থ্যবানদের। রবি থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে আপনার ভিতরের মনুষত্বকে জাগিয়ে তুলে আপনিও হয়ে উঠুন একজন রবি।আপনাদের মহানুভতাই পারে অভিশপ্ত করোনার কালো থাবা থেকে অবহেলিত হতদরিদ্র পরিবার গুলোর মুখে হাসি ফুটাতে।

করোনার এই ক্রান্তিকালে আপনিও হয়ে যান একজন রবি।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »