শোয়েব আক্তার »
শেষ হলে গেলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মত্তোর্জা’র অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ার। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচে ১২৬ রানে হারিয়ে পঞ্চাশতম জয় দিয়ে অধিনায়ক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন “ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক”।
তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ২৯২ রানের উদ্ভোধনী জুটি, জোড়া শতক, লিটনের ব্যক্তিগত ১৭৬ রানের ইনিংস সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তে ছিল অধিনায়ক মাশরাফির বিদায়। তবে, আরও একটি বিষয় সবার নজর এগিয়ে গেছে বা গুরুত্ব পায় নি তা হলো কোন রকম ইঞ্জুরি বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই কাল দলের বাইরে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
দলে থেকেও শেষ কবে মূল একাদশে ছিলেন না মুশফিক তা হয়তো কেউ মনেই করতে পারবেন না।সাইড ব্যাঞ্চে বসে গতকালক বেশ কয়েকবার পানির বোতল হাতেও মাঠে আসতে দেখা গেছে তাঁকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র ওডিআই ম্যাচের সম্ভাব্য ওডিআই একাদশ কে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গতকাল দলের বাইরে রাখা হয়েছিল মুশফিক কে!
যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচের এখনও প্রায় একমাস বাকি এবং মাঝখানে আরও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ডিপিএল তো আছেই। তবুও বিসিবির কর্তা ব্যক্তিদের খোঁড়া যুক্তিতেই কাল মাঠের বাইরে ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।
অথচ মাশরাফির নেতৃত্বের শেষ ম্যাচ ছিল গতকাল। তাই ম্যাচটি খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এমনকি বিদায়ী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মত্তোর্জা ও মুশফিককে একাদশ ভুক্ত করার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বোর্ড সভাপতির নিদের্শেই মুশফিককে দলে রাখা সম্ভব হয় নি।
উল্লেখ্য, দুটি টেস্ট, একটি ওয়ানডে ও তিনটি ওডিআই খেলতে তিন দফায় পাকিস্তান সফর রছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে সিরিজ টি একপ্রকার বাতিল ই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আইসিসি’র মধ্যস্ততায় তিন দফায় পাকিস্তান সফর নির্ধারন হয়। সিরিজ শুরুর আগে পাকিস্তান সফরের জন্য খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বললেও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম পাকিস্তান না যাওয়ায় এখন বোর্ড থেকে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে তাঁর উপর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও দ্বিতীয় ওডিআইতেও দলে না রাখার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবুও চাপের কাছে মাথা নত করেন নি মিস্টার ডিপেন্ডেবল। পাকিস্তানে না যাওয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থানে অনঢ় তিনি।