শোয়েব আক্তার »
ডেভিড মালানের অসাধারণ শতকে রাজশাহী রয়্যালস কে ১৭১ রানের টার্গেট দিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। মাত্র ৫৪ বলে এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। ১০০ রান পূর্ণ করতে তিনি ৯টি চার ও ৫টি ছয় হাঁকিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২০তম ও চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে, টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের পক্ষে দুই উদ্ভোধনী ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকশে ও ডেভিড মালান মোটামুটি ভালো শুরু এনে দেন দলকে। দলীয় ২৬ ও ব্যক্তিগত ১০ রানে রাজাপাকশে কে এলবি ডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে রাজশাহী কে প্রথম সাফল্য এনে দেন আফিফ হোসেন।
বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করলেও গত ম্যাচের মতো আজকেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান। ব্যক্তিগত ৫ রানে আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
তবে, তৃতীয় উইকেটে অর্ধ-শতরানের জুটি গড়ে দলকে ভালো সংগ্রহের ভীত গড়ে দেন ডেভিড মালান ও সৌম্য সরকার জুটি। দুজনে ৪০ বল থেকে ৫০ রান করেন। রবি বোপারার করা ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে সৌম্য সরকার ব্যক্তিগত ২০ রানে আউট হয়ে গেলে এ জুটি ভাঙ্গে।
আবু জায়েদ রাহির করা ইনিংসের ১৫তম ওভারের তৃতীয় ও শেষ বলে দাসুন শানাকা-১১ ও ইয়াসির আলি-০ রানে আউট হয়ে গেলেও উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন মালান।
ডেভিড মালান ছাড়া কুমিল্লার অন্য কোন ব্যাটসম্যান খুব একটা সুবিধা করতে না পারায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে তারা।
রাজশাহী রয়্যালসের পক্ষে রবি বোপারা, আবু জায়েদ রাহি ও মোহাম্মদ ইরফান ২টি, আন্দ্রে রাসেল, আফিফ হোসেন ও ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৭১ রানের টার্গেটে কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যাট করতে মাঠে নামবে রাজশাহী রয়্যালস।