দুর্জয় দাশ গুপ্ত »
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তরুণ পেসার মেহেদী হাসান রানা বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এই আসরে মুদ্রার দু’দিকটাই দেখলেন। দারুণ শুরুর পরে ইনজুরি আক্রান্ত রানা আবারো ফিরে এসেছিলেন ভালোভাবে। কিন্তু শেষটা?
তার এক ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে নিজেদের দিকে নিয়ে নেন রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। রানার করা সেই ওভারে মোট ২৩ রান তুলে রাজশাহী। ক্যারিবিয়ান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান রাসেলের সামনে বোলিং করার ভয়ঙ্কর এই অভিজ্ঞতা সামনে কাজে আসবে রানার জন্য। এ নিয়ে শিক্ষা নিয়ে ভালো করবেন রানা ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন আরেক ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য রাজশাহীর প্রয়োজন ৩১ রান। নিজের শেষ ও ইনিংসের ১৯তম ওভারে বোলিং করতে এসে রাসেলের ব্যাটের প্রশস্ততা ভালো ভাবে দেখেন মেহেদী হাসান রানা। তার ঐ ওভারে মোট দুই ছক্কা এবং এক চার মারেন রাসেল। ওভারের করা শেষ বলে আবু জায়েদ রাহির ব্যাটের কানায় লেগে হয়ে যায় চার। মূলত এই ওভারেই ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় রাজশাহী৷
কেবল মেহেদী হাসান রানা না, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডেথ ওভারে রাসেলের মতো ভয়ংকর ব্যাটসম্যানের সামনে যে কোনো বোলারই হয়ে পড়েন অসহায়। আর এ কারণেই রানাকে আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে ভবিষ্যতে এমন অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ দিলেন গেইল।
গতকাল ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রানার বোলিং নিয়ে ক্রিস গেইল বলেন, ‘সে তরুণ ক্রিকেটার। এমন অভিজ্ঞতা সে শিক্ষা হিসেবে ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারবে। আর এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। আমি বলবো এটা বোলারদের খেলা নয়, আর বিশেষ করে ডেথ ওভারে একদমই নয়। আর ব্যাটসম্যান যখন আন্দ্রে রাসেলের মত পাওয়ার হিটার তখন তার সামনে তো আরও আগে নয়।’
গেইল আরো বলেন, ‘রানা এটাকে শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে অবশ্যই কাজে লাগাতে পারবে। তার অবস্থান থেকে শক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। একইসাথে তাকে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আবারো ঠিক এই পরিস্থিতির সামনে পড়লে সে জানবে কীভাবে কী করা উচিত।’
উল্লেখ্য, রাসেলের তাণ্ডবে আরো ৪ বল হাতে রেখেই হারতে থাকা ম্যাচটাতে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় রাজশাহী। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে দলকে নিয়ে যাওয়ার পথে মাত্র ২২ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন তিনি।