ভালো শুরুর পর হোঁচট, মান বাঁচালেন রিয়াদ

দুর্জয় দাশ গুপ্ত »

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়ে ছিলো কত নাটকীয়তা। যারা বাংলাদেশ ইনিংসের শেষের দিকটা টিভি সেটের সামনে বসে দেখেছিলেন তারা নিশ্চয়ই শুনেছেন কমেন্টেটরা বারবার বলছিলেন, শেষ মুহূর্তে নাটকীয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, এখন তিনি প্রমাণ করছেন অভিজ্ঞতা জিনিসটা আসলে কি!

আসলেই তো, ২০১ রানে যখন মুশফিক আউট হলেন তখন পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করাই ছিলো বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে গত ম্যাচের মত এদিনও এমন অসাধ্য সাধন করেছেন মাহমুদউল্লাহ। নাসুমকে নিয়ে দারুণ এক পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে লড়াই করার মত একটা পুঁজি এনে দিয়েছেন। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৬ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রিয়াদ। তার ইনিংসের উপর ভর করেই ২৫৬ রানের পুঁজি পেয়েছে টিম টাইগার্স।

এর আগে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় স্বপ্নের মত। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম গড়েন ৯৩ রানের পার্টনারশিপ। তবে ফিফটি পূর্ণ করে আউট হওয়া তানজিদের পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক শান্তও। ১৭ বলে ৮ রান করে আউট হন শান্ত। শান্ত’র বিদায়ের পর কেএল রাহুলের দারুণ এক ক্যাচে ব্যর্থ হয়ে মাঠে ছাড়েন ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজও। বড় রানের স্বপ্ন দেখতে থাকা বাংলাদেশ ইনিংসের দৃশ্যপটটা যেন খুবই দ্রুতই বদলে গেল।

উইকেটের চারদিকেই রান তোলায় ব্যস্ত ছিলেন লিটন। একসময় মনে হচ্ছিলো লিটনের ব্যাটে পাওয়া যাচ্ছে বড় রানের আভাস। কিন্তু জাদেজার ফাঁদে পা দিয়ে ৬৬ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন লিটনও। মুশফিকুর রহিমের আগে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামা তরুণ তাওহিদ হৃদয় আজও হয়েছেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ৩৫ বল খেললেও কোন বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি এই ব্যাটার। মাত্র ১৬ রান করে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন তিনি।

শেষের দিকে মুশফিকুর রহিমের ৩৮ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪৬ রানে মান বাঁচে বাংলাদেশের। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ।

 

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »