ক্রীড়া প্রতিবেদক »
টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৬ রানে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিংটাই বলে দেয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের আসল চিত্র কেমন। বড় মঞ্চে রড় রানের টার্গেটে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয় সেটা হয়তো জানা নেই বাংলাদেশের। রাউলি রুশোর করা ১০৯ রানটাই টপকাতে পারেনি পুরো বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সের পর প্রশ্ন উঠতেই পারে বড় রান তাড়া করার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে কিনা? ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অকোপটেই স্বীকার করে জানিয়েছেন বড় রান তাড়া করে বাংলাদশ জিততে পারে এই বিশ^াসটাই নেই দলের। অধিনায়ক জানান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নয় ঘরোয়া ক্রিকেটেই বড় রান তাড়া করে জেতার অভ্যাস নেই।
সাকিব বলেন, ‘বড় রান তাড়ায় জিততে না পারার একটা কারণ হতে পারে বিশ্বাস। আমরা আসলেই বিশ্বাস করছি কী না যে, বড় রান তাড়া করে জিততে পারব। আমরা কখনও বড় রান তাড়া করে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটেও জিতি না। ওই একটা জায়গাতে আমাদের সম্ভবত ঘাটতি থাকতে পারে। কারণ অন্য দলগুলো যখন খেলে, বেশির ভাগ দল টি–টোয়েন্টিতে রান তাড়া করতে পছন্দ করে এবং ১৭০-১৮০-২০০ তাড়া করে বেশির ভাগ সময়ই। এই জায়গাগুলোয় আমরা খুব বেশি অভ্যস্ত বলে মনে হয় না। এখানে একটা ঘাটতি থাকতেই পারে আমাদের।’
সাকিব আর বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে যা হয়, ধস নামা শুরু করলে সামাল দেওয়ার খুব একটা সময় থাকে না। মোমেন্টাম বয়ে নেওয়ার জন্য ব্যাটিং করতে হয়, যদি জেতার জন্য খেলেন। এখানে বিপর্যয় আসতেই পারে, এটা মেনে নিতে হবে। আমার মনে হয় ব্যাটিংয়ে সেটিই হয়েছে। এটা ভালো একটা পয়েন্ট যে, আমরা ২০০ তাড়া করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম কি না। হয়তো না।’
সাকিব মনে করেন বোলিং বিভাগের সামর্থ রয়েছে যেকোনো দলকে ১৭০-১৮০ রানের মধ্যে আটকে ফেলার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি। সাকিব বলেন, ‘আসলে আমাদের যে বোলিং আক্রমণ আছে, যে কোনো ভালো উইকেটেও যে কোনো দলকে ১৭০-১৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারি। যেটা পুরো বদলে দিতে পারে খেলা। আজকে আমরা নিয়মিত উইকেট নিতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতে ৫০-৬০ রানের কোনো জুটি হয়ে গেলে বোলিং দলের জন্য কাজটা কঠিন। আজ সেটিই হয়েছে। প্রথম ওভারে উইকেটের পর ১০ ওভারে আর উইকেট নিতে পারিনি। এরপর তো ব্যাটিং দলের জন্য পুরো ফ্রি হিট বলা যায় প্রতিটি বল। আমরা ওখানে অনেক বেশি পিছিয়ে গিয়েছি।’