চৌধুরী মোহাম্মদ ইমতিয়াজ »
একদলের প্লে-অফে যাওয়া, আরেক দল শেষ চারের আশা জিইয়ে রাখা। সন্ধায় মিরপুরে মাঠে নামে ঢাকা প্লাটুন ও রংপুর রেঞ্জার্স। টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রেঞ্জার্স অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েও মোস্তাফিজ, তাসকিনদের বোলিং তোপে বড় স্কোর গড়তে পারেনি ঢাকা।
১১ রান করে গ্রেগরীর বলে বিজয় বিদায়ে ভেঙ্গে যায় ২৬ রানের ক্ষণস্থায়ী ওপেনিং জুটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকার ইনিংস জুড়ে ব্যর্থতার চাদরে ঢাকা ছিল ব্যাটসম্যানরা।
শেষ দিকে সাদাব খানের ওয়েলকাম ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ঢাকা। তিন ছক্কায় ১৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন সাদাব। মাশরাফির ব্যাট হতে আসে ৬ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস তামিমের ৪০ রান।
প্লাটুনদের বিপক্ষে সমান তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন টাইগার পেসার তাসকিন ও মোস্তাফিজ। এছাড়াও মোহাম্মদ নবী দুইটি ও লুইস গ্রেগরীর দখলে এক উইকেট।
১৪৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খেয় হারিয়ে ফেলে ওয়াটসনরা। ঢাকার বোলারদের সম্মিলিত আক্রমনে উড়ে যায় রেঞ্জার্সরা। অধিনায়কের শূন্য আর ব্যক্তিগত ডাবল ফিগার স্পর্শ করার আগে আউট হয় ছয় ব্যাটসম্যান। ৮৪ রানে শেষ দলীয় ইনিংস।
বোলারদের নৈপূণ্যে ৬১ রানের দাপুটে জয়ে নিজেদের প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ঢাকা প্লাটুন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পেয়েছেন তরুন স্পিনার মেহেদি হাসান। অধিনায়ক মাশরাফি, ফাহিম আশরাফ এবং সাদাব খনের ঝুলিতে সমান দুই উইকেট করে। অপর একটি উইকেট হাসান মাহমুদের।