দুর্জয় দাশ গুপ্ত »
হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ওয়ানডে কাপ্তান তামিম ইকবাল খান। তার এমন ঘোষণার পরে টালমাটাল হয়ে যায় পুরো দেশ। হুট করেই খবরের প্রধান শিরোনামে তামিম। তামিমের অবসর ইস্যু গিয়ে বর্তায় স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। অবসর ঘোষণার ২৭-২৮ ঘন্টার মধ্যে আবারো অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন তামিম। কিন্তু এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবার নিয়ে দুবাই যাওয়ার আগে নিজের অবসর ইস্যুতে বিডিনিউজ ২৪ ডট কমের সাথে খোলামেলা কথা বলেছেন তামিম ইকবাল।
সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন তামিম তার ঢাকার বাসায় আসার পরে জানতে পারেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তার সাথে কথা বলতে চান। মুঠোফোনে মাশরাফির সাথে তামিম কথা বলেই জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী তামিমকে ডেকেছেন এবং যত দ্রুত সম্ভব তামিম যেন গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। মাশরাফির কাছ থেকে এমন খবর জানতে পেরেই গণভবনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তামিম। আর সেখানে তিন ঘন্টা ধরে চলা মিটিংয়ের পরেই নিজের অবসরের ঘোষণা তুলে নিয়ে পুনরায় ক্রিকেটে ফেরার কথা জানান তিনি।
কিন্তু হুট করে কেন তামিম অবসরের মত কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিলেন সে প্রশ্নটা ছিলো সবার মনে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে তামিমকে নিয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বিসিবি বসের এমন মন্তব্যের কারণেই হয়তো ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন তামিম। তবে এবার তামিম নিজেই এ ব্যাপারটা পরিষ্কার করেছেন। বিডিনিউজ ২৪ ডট কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম জানান, বিসিবি বসের এমন মন্তব্যের কারণে তিনি অবসরের ঘোষণা নেননি। বরং তারও ৩-৪ দিন আগে থেকেই তামিম তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঠিক করে রেখেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে তিনি গুডবাই জানাবেন। তবে তামিম এটাও বলেছেন, গণমাধ্যমে বিসিবি বসের এমন মন্তব্য করা উচিত না, এবং তিনি সেটা আশাও করেননি। মূলত তামিমের ফিটনেস ইস্যুতেই কথা বলেছিলেন বিসিবি বস।
বর্তমানে পরিবার সহ দুবাই অবস্থান করছেন তামিম। দুবাই থেকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন তিনি। দুজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে দেশে ফিরবেন এই ড্যাশিং ওপেনার। তবে দেশে ফিরে বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সাথে একান্ত ব্যক্তিগত এক মিটিংয়ে বসবেন তিনি। তামিম কি আবারো অধিনায়ক হয়েই জাতীয় দলে ফিরবেন, আরো কতদিন জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশকে সার্ভিস এসবই জানা যাবে ঐ মিটিংয়ের পরে।