বিশ্বকাপে কে হবেন বাংলার সাত নম্বর ব্যাটার?

দুর্জয় দাশ গুপ্ত »

২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাত নম্বর ব্যাটার ছিলেন সাব্বির রহমান, ২০১৯ এ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ২০২৩ এ কে? আগের দুই বিশ্বকাপের দুজনই জাতীয় দলের বাইরে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত রাডারে থাকলেও জাতীয় দলের থেকে অনেক দূরে সাব্বির রহমান।

এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সৈকতের। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো আবারো জাতীয় দলের দরজা খুলবে এই অলরাউন্ডারের। কিন্তু তাকেও দলে ডাকা হয়নি। এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের ১৭ জনের স্কোয়াডে যারাই আছেন তাদের মধ্যে সাত নম্বরের জন্য সম্ভাব্য চারজন ক্রিকেটার আছেন – আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন ও শেখ মাহেদী।

সবশেষ আফগানিস্তান সিরিজে সাত নম্বরে খেলেছেন আফিফ। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। দুই ইনিংসের একটিতে ৪ রান আর অন্যটায় গোল্ডেন ডাক। অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্ষেত্রে সাত নম্বরের চেয়ে আট নম্বর পজিশনেই তিনি ব্যাট হাতে সবচেয়ে সফল। এ পজিশনে দুই ফিফটির পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে আছে একটি সেঞ্চুরিও।

এ দুজনের পাশাপাশি এই পজিশনের জন্য লড়বেন তরুণ শামিম হোসেন ও অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী। শামিম হোসেন টি-টোয়েন্টিতে ছয় ও সাত নম্বর পজিশনে খারাপ করেননি, সেটা হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট বিবেচনায় নিতে পারে। আর শেখ মাহেদী হাসানের ব্যাটিং রেকর্ড জাতীয় দলে কখনোই ভালো ছিলো না। সেক্ষেত্রে যদি টিম ম্যানেজমেন্ট একজন স্পিনার বেশি খেলাতে চায় তখন সাত নম্বর পজিশনে দেখা যেতে পারে মাহেদীকে। তবে যেহেতু দলে মেহেদী হাসান মিরাজের মত একজন অভিজ্ঞ ডানহাতি স্পিনার আছেন সেক্ষেত্রে শেখ মাহেদী’র একাদশে সুযোগ পাওয়াও বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে।

গেল বিশ্বকাপের পর থেকে সাত নম্বর পজিশনে সবচেয়ে বেশি ব্যাট করেছেন আফিফ হোসেন। তবে সফলতার পাল্টাটা ভারী না এই তরুণ ব্যাটারের। দুই একটা ম্যাচ ছাড়া এ পজিশনে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি আফিফ।

আবার যদি তিন পেসারের পাশাপাশি তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে চায় টিম টাইগার্স সেক্ষেত্রে সাত নম্বরে দেখা যেতে পারে মেহেদী মিরাজকে। আর আট নম্বর পজিশনে খেলবেন শেখ মাহেদী। তবে এখন কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বাংলার মাস্টারমাইন্ড হাথুরুসিংহে কোন পথে হাঁটবেন সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে এশিয়া কাপ পর্যন্ত।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »