নিউজ ডেস্ক »
তিনি মূলত বার্বাডোসের বংশোদ্ভূত যদিওবা কিন্তু ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ায় প্রায় বছর দুই ধরে খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। শুরুতে কাউন্টিতে খেললেও পরে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান।গেল বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি ছিলেন ইংলিশদের পেস অ্যাটাকের মূল অস্ত্র। জফরা আর্চারের কথা বলছিলাম।
ইংলিশদের বিশ্বকাপ জয়ে আর্চারের ভূমিকা ঠিক কতটুকু সেটা সবারই জানা। বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভার সামলানোর যে কঠিন দায়িত্ব তার কাঁধে দেওয়া হয়েছিলো সেটা আর্চার পালন করেছেন ভালো ভাবেই। আর এমন কাজ বেশ ভালো ভাবে করতে পেরেছেন বলেই ইংলিশরা প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জয় করে পেরেছে।
তবে অবাক করা ব্যাপার হলো আর্চার হারিয়ে ফেলেছেন বিশ্বকাপ পদক। বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হিসেবে অন্য সবার মত আর্চারও পেয়েছিলেন একটি মেডেল। কিন্তু বাকি সবার মেডেল থাকলেও নিজের মেডেলটা হারিয়ে ফেলেছেন আর্চার।
এদিকে হারিয়ে যাওয়া এই মেডেল খুঁজতে খুঁজতে পাগলপ্রায় অবস্থা ২৫ বছর বয়সী এই পেসারের। সম্প্রতি বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমনটা নিজেই জানিয়েছেন আর্চার। বিশেষ এই পদকটি ঠিক কোথায় আছে এমন প্রশ্নে আর্চারের উত্তর, ‘এই পদকটি আমারই একটি প্রতিকৃতিতে কেউ একজন ঝুলিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু এরপর থেকে সেটা আর খুঁজে পাচ্ছি না। এখন এই মেডেলটা প্রতিকৃতিতে ঝুলন্ত অবস্থায় নেই।’
হারানো মেডেলের ব্যাপারে আর্চার আরো বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে আমার বাসা পরিবর্তন করেছি। আমার ছবিটা ঠিকই দেওয়ালে ঝুলছে কিন্তু সেখানে এখন ঐ মেডেলটি নেই।’
মেডেল খুঁজত খুঁজতে পাগলপ্রায় অবস্থা হয়েছে আর্চারের। তিনি আরো বলেন, ‘আমার জানা মতে এই পদকটি বাড়ির ভেতরেই থাকার কথা। আর সে কারণেই আমি এটা খুঁজে পাওয়ার জন্য এখন বেশ নজর দিচ্ছি। কিন্তু এটা খুঁজতে গিয়ে আমি ইতোমধ্যেই পাগল হওয়ার মত অবস্থায়।’
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর কারণে স্থবির পুরো বিশ্ব। বন্ধ হয়ে আছে বিশ্বের সকল ক্রিকেটীয় ইভেন্টও। আর আর্চার মনে করছেন এটাই উপযুক্ত সময় মেডেলটি খুঁজে পাওয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১৫ এএম
নিউজক্রিকেট/ডিডিজি