বিপ টেস্টে ফেল করার কারণ জানালেন নাসির

নিউজ ডেস্ক »

চলতি মাসেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্ট কাপের আসর বসতে যাচ্ছে। আর এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের বিপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছিল বিসিবি। দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। বিপ টেস্টে পাশ করতে পারেননি যারা, তাদের মধ্যে বড় নাম একজন নাসির হোসেন। ফিটনেস টেস্টে তার ব্যর্থতা নিয়ে বেশ সমালোচনার পর এবার নাসির নিজেই মুখ খুললেন।

বিপ টেস্টে যে নম্বর নাসির পেয়েছেন, তা একজন অ্যাথলেটের জন্য খুবই বিব্রতকরই। একসময়ের সেরা ফিল্ডার বা সেরা ফিনিশারের তকমা পাওয়া এই ক্রিকেটারের ফিটনেসে কেন এমন করুণ দশা হলো?

সেই প্রশ্নের উত্তর না জেনেই চলেছে বিস্তর সমালোচনা। তবে নাসিরের দাবি, চোটের কারণেই তিনি বিপ টেস্টে ভালো করতে পারেননি। এছাড়া খেলার ইচ্ছা থেকে নয়, চোটের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে বা কতটুক ফিট হয়েছেন তা যাচাই করতেই নিজ ইচ্ছায় বিপ টেস্ট দিয়েছিলেন বলে দাবি একসময় জাতীয় দলে খেলা এই অলরাউন্ডারের।

সম্প্রতি দারাজের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত নাসির বলেন,”আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে এত সক্রিয় নই। আমি জিম করি, ব্যাটিং করি, এগুলো ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে দেই না। অনেকে দেয়, কিন্তু আমি দেই না। রংপুরে আমি ভালোমত প্র্যাকটিস করেছি। ঢাকায় এসে আবার প্র্যাকটিস করতে গিয়ে ইঞ্জুরিতে পড়ে যাই।’

চোট পাওয়ার পর ফিজিও-ট্রেনাররা তাকে খেলতে তো বটেই, বিপ টেস্ট দিতেও নিষেধ করেছিলেন। তবুও নাসির নিজের ইচ্ছায় বিপ টেস্ট দিতে যান। তিনি জানান, ‘‘ইঞ্জুরির পর ফিজিওকে দেখিয়েছি, ব্যক্তিগত ট্রেনারকে দেখিয়েছি। তারা সবাই আমাকে মানা করেছে বিপ টেস্ট যেন না দেই। আমি টুর্নামেন্ট খেলার পরিস্থিতিতে ছিলাম না। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় বিপ টেস্ট দিয়েছি। খেলার উদ্দেশে দেইনি, আমি কী অবস্থায় আছি, আরও কতটুকু ফিট হতে হবে সেটা দেখার জন্যই দিয়েছি।’’

নাসিরের দাবি,”আমার পুরো ক্যারিয়ারে কখনো এমন বিপ টেস্ট দেইনি। সবাই জানে আমি কেমন ফিট থাকি বা ছিলাম বা আছি। এত কম হবার কথা না আমার। বিপ টেস্ট দেওয়ার সময় পায়ে ব্যথা শুরু হয় এবং থেমে যাই। তখন মাথায় এসেছে, এই ২০ দিনের খেলার চেয়ে ৬ বছরের ক্যারিয়ার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে অনেকভাবে বলছে- আমি ফিটনেস নিয়ে কিছু করি না, লকডাউনে কিছু করিনি। কিন্তু আমিও কাজ করেছি। এটাই সবাইকে বলি। আমিও করেছি, কিন্তু সেটা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেইনি।’’

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »