নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী মাসের ৫ অক্টোবর। এ বছরের জাতীয় লিগকে কেন্দ্র করে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে কঠোর হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার ফলে খেলোয়াড়দের জন্য বিপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে বিসিবি। তবে বিপ টেস্টকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না নাসির হোসেন। এই অলরাউন্ডার মনে করছেন, বিপ টেস্টে ব্যর্থ হলেও ক্রিকেটাররা মাঠে নিজের ফিটনেস ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। তাই বিপ টেস্টের ফলাফল নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নন।
নাসির হোসেনের মতে, ‘বিপ টেস্টকে একটি সাধারণ পরীক্ষা হিসেবেই দেখছি আমি। এখানে আসলে ফিটনেসের মূলভাবটা বুঝা যায়। খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, বিপ টেস্টে হাই মার্কিং পাওয়া ক্রিকেটারদের অনেক সময় ম্যাচ ফিটনেস দুর্বল থাকে আর লো মার্কিং পাওয়া ক্রিকেটারদের অনেক সময় ম্যাচ ফিটনেস ভালো থাকে। সুতরাং বিপ টেস্টকে তেমন ভাবে নিচ্ছি না। তাছাড়া ফিটনেস কিন্তু অনেক উপায়ে ধরে রাখা যায়। আর অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা বিপ টেস্টে আমার চেয়ে ভালো মার্কিং পেয়েও দেখা যায় ম্যাচে আমি তাদের তুলনায় বেশি ফিট।’
নাসির হোসেন আরো জানান, ‘আমি এমন বেশ কয়েকজন বোলার দেখেছি যারা বিপ টেস্টে ৭ বা ৮ পেয়েও জাতীয় লিগে টানা ১৫ থেকে ১৬ ওভার বোলিং চালিয়ে গেছে। বিপ টেস্ট শুধুই একটি টেস্ট আর ম্যাচ ফিটনেস, সেটা আলাদা জিনিস।’
উল্লেখ্য, মূলত জাতীয় লিগকে জাঁকজমক করে তুলতে বিসিবি ক্রিকেটারদের ফিটনেসকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। আর তাই বিসিবি জানিয়েছেন, জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলা প্রত্যেক ক্রিকেটারকে বিপ টেস্ট দিতে হবে। যেখানে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে পেতে হবে ১১ পয়েন্ট করে।