নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
জুবায়ের আহমেদ
২০০২ (১৫ ডিসেম্বর) সালে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় এন্ডারসনের। তখন আমি ক্রিকেটপ্রেমে বুদ হয়ে থাকা এক কিশোর। আমাদের চোখের সামনেই পারফর্ম করে আজ টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং সবমিলিয়ে ৩য় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী পেসার। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী পেসার হয়েছেন। টেস্টে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ বার ৫ উইকেটশিকার এবং সবমিলিয়ে ৭ম সর্বোচ্চ ৩২ বার ৫ উইকেট শিকার করেছেন।
যে বিষয়টি লক্ষ্যণীয়, এন্ডারসনের সামনে পুরোপুরিভাবে সুযোগ ছিলো শেন ওয়ার্নের ৭০৮ উইকেট শিকারের রেকর্ড টপকে ২য় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার হয়ে অবসর নেয়ার কিন্তু এন্ডারসন সেটি করেননি। ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে যাবেন, আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। ইতিমধ্যে ১ম ইনিংসে ১ উইকেট শিকার সহ ৭০১ উইকেট হয়েছে এন্ডারসনের। ওয়ার্নের রেকর্ডভাঙ্গতে হলে আরো ৭/৮ উইকেট শিকার করতে হবে ২য় ইনিংসে, যা খুবই কঠিন। অবশ্য এই চ্যালেঞ্জটি তিনি নেননি। এর চেয়েও বড় বিষয় লর্ডসে খেলে বিদায় নেয়াকেই সম্মানজনক বলে মনে করেছেন হয়তো। কেননা ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডসেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জিমির। উইকেটের রেকর্ডের চেয়ে এটিই হতে পারে ইংলিশ কিংবদন্তীর কাছে সবচেয়ে বেশি সম্মানের। ইংলিশদের কাছে সম্মান এবং মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বড় ব্যাপার।
অবশ্য ওয়ানর্ডের ৭০৮ উইকেটের রেকর্ড ভাঙ্গা না হলেও আর মাত্র ২ উইকেট শিকার করলে ৩য় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১ হাজার উইকেট শিকার পূর্ণ হবে এন্ডারসনের।
জেমি চাইলেই (?) চলতি সিরিজের ৩য় টেস্টে অবসর নিতে পারতেন, সেক্ষেত্রে ৩ টেস্ট মিলিয়ে ৮/৯ উইকেট শিকার করা কঠিন হলেও অসম্ভভ হতো না। কিন্তু সেই চিন্তা না করে শুরুর মতো শেষটাও লর্ডসে হোক, সেটাই চেয়েছেন। যে অর্জনের চেয়েও সম্মানকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তার শেষটায় ১ হাজার উইকেট পূর্ণের রেকর্ডও নিশ্চয় বেইমানি করবে না। আর মাত্রই তো ২টি উইকেট। পেয়ে গেলে কি এমন ক্ষতি হবে পৃথিবীর। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে আমাদের বিনোদন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জেমি।