নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
জুবায়ের আহমেদ
গতকাল ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের গড়া ১৮২ রানের জবাবে মাত্র ৯ উইকেট হারিয়ে ১২২ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। রিয়াদ ২৮ বলে ৪০ ও সাকিব ৩৪ বলে ২৮ রান করেন। তানজিম তামিম ১৮ বলে ১৭, সৌম্য ২ বলে শুণ্য, লিটন ৮ বলে ৬, শান্ত ৬ বলে শুণ্য, তাওহীদ ১৪ বলে ১৩ রান করেন।
প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পরাজয়ের চাপ নেই। প্রস্তুতি ম্যাচের উইকেটও সাধারণত ব্যাটিং সহায়কই হয়। সেই জায়গায় গতকাল বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং চিত্র ছিলো খুবই হতাশাজনক। একমাত্র রিয়াদ ছাড়া কেউ ১০০ প্লাস স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করতে পারেনি, যা খুবই হতাশাজনক। প্রস্তুতি ম্যাচেও এমন হতশ্রী ব্যাটিং কাম্য ছিলো না।
এর আগে আমেরিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজয় ছাড়াও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ছিলো হতাশাজনক। প্রথম ম্যাচে ১৫৩ রান করে পরাজয়। ২য় ম্যাচে আমেরিকার গড়া ১৪৪ রানের জবাবে ১৩৮ রানে অলআউট খুবই বাজে ক্রিকেটের দৃষ্টান্ত।
৩য় ম্যাচে আমেরিকার গড়া ১০৪/৯ রানের জবাবে ১১.৪ ওভারে ১০৮ রান করে ১০ উইকেটের জয়। এই এক ম্যাচ ব্যতীত সাম্প্রতিক সময়ে টি২০ আদর্শ কোন দলীয় সংগ্রহ নেই বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও সেখানে দলীয় সর্বোচ্চ ১৬৫/৫, ২য় সর্বোচ্চ ১৫৭/৬। টি২০ ক্রিকেটে এই ইনিংসগুলো বর্তমান সময়ের বিবেচনায় আদর্শ সংগ্রহ নয়।
দলীয় চিত্র যখন এই, তখন ব্যক্তিগত ফর্মেও বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য ছিলো না লিটন দাস এবং নাজমুল শান্ত। সেখানে শান্ত আবার অধিনায়ক। তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ তামিম ও মাহমুদুল্লাহ ছাড়া কারো ফর্ম ভালো নয় বর্তমান দলে। জাকির নতুন ক্রিকেটার, সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা বলেই তার ফর্ম নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা করার সুযোগ নেই। সৌম্য ছোট ছোট ইনিংস খেললেও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো রান নেই তার ব্যাটে। ফলে একটা ভংগুর টপ অর্ডার নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপ হলো পারফর্ম করার জায়গা অর্থাৎ আপনি সারা বছর ক্রিকেট শিখবেন। বিশ্বকাপে গিয়ে পারফর্ম করবেন। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় ঘটে উল্টোটা। বছর জুড়ে তুলনামূলক খারাপ ক্রিকেট খেলার পর বিশ্বকাপেও সেইসকল ক্রিকেটারদের নিয়েই দল গড়া হয়, যার প্রমাণ শান্ত এবং লিটন। অফফর্মের এই দুই ক্রিকেটারকে পারফর্ম করার জন্য বিশ্বকাপকেই মঞ্চ করে দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু এই পর্যন্ত প্রস্তুতি ম্যাচ সহ টানা ৪ ম্যাচে দুজন ব্যর্থ।
বিশ্বকাপে ২০ দল খেলছে। বাংলাদেশের স্বপ্ন সেরা ৮ এ খেলা। এটি কঠিন কাজ নয়। তবে পাওয়ার ক্রিকেটে সামর্থ্যহীন বাংলাদেশের সামনে উইন্ডিজ-আমেরিকার মতো ভিন্ন কন্ডিশন এবং ভিন্ন উইকেটে নেপাল, নেদারল্যান্ড এবং শ্রীলংকা অথবা আফ্রিকাকে হারিয়ে সেরা ৮ এ খেলা, কঠিন থেকে কঠিন কাজ হবে নিঃসন্দেহে।