চৌধুরী মোহাম্মদ ইমতিয়াজ »
১১ই ডিসেম্বর পর্দা উঠা বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চলছে শেষ পর্যায়ের খেলা। জমে উঠেছে ব্যাট-বলের লড়াই। ব্যক্তিগত অর্জনেও পিছিয়ে নেই ক্রিকেটাররা। বিদেশী তারকাদের ভীড়ে আলো কাড়ছেন দেশীয় ক্রিকেটাররাও। মুশফিক-তামিমদের পাশাপাশি ব্যাটে-বলে সমান দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তরুন সেনসেশনরাও।
তরুণ ক্রিকেটার আফিফ, মেহেদিদের ক্ল্যাসি নজর কেড়েছে সবার। কখনো বল হাতে, আবার কখনো ব্যাট হাতে পুরোদস্তর ব্যাটসম্যান হয়ে। ম্যাচের ‘ক্রুশাল মোমেন্টে’ দলকে এনে দিচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত জয়। অনবদ্য পারফর্ম্যান্সে এগিয়ে থাকা সাত দলের সেই ক্রিকেটারদের জেনে নেওয়া যাক।
১. মেহেদি হাসান (ঢাকা প্লাটুন): ২০১৬ সালে বিপিএল অভিষেক হওয়া এই তরুণ ক্রিকেটার সর্বশেষ দুটি আসরে খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। এর আগে বল হাতে বেশ সাফল্য পেলেও এবারের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। টপ-অর্ডারে ব্যাট হাতে নিয়মিত ঝড় তুলছেন মেহেদি। ৯ ইনিংসে ১৭.৫৫ গড়ে রান করেছেন ১৫২। দুই ফিফটিতে স্ট্রাইকরেট ১৩৫.০৪। বল হাতেও সফল ঢাকা প্লাটুনের এই অলরাউন্ডার। ১০ ইনিংস হাত ঘুরিয়ে উইকেট শিকার করেছেন ৯টি। উইকেটসংখ্যা কম হলেও ইকোনমি রেটটা বেশ ভালোই, মাত্র ৬.৫২।
২. মেহেদি হাসান রানা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স): বাঁহাতি এই পেসারের বিপিএল ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল কুমিল্লার হয়ে ২০১৭ সালে। এবারের বিপিএলে তাক বল হাতে সাড়া জাগানো রানা টুর্নামেন্টের অর্ধেকেরও বেশি সময় শীর্ষ উইকেট শিকারী হয়ে আছেন। মাত্র ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে বর্তমানে আছেন আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের পরে। দল শেষ চারে পৌঁছে যাওয়ায় এই চ্যালেঞ্জার্সের সামনে থাকছে মোস্তাফিজকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ।
৩. আফিফ হোসেন ধ্রুব (রাজশাহী রয়েলস): ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া আফিফ ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার। এবারের বিপিএলে তার ব্যতিক্রম নয় এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে সমানতালে ছুটেছেন আফিফ। মিডল অর্ডারের আফিফ যখন ওপেনার, ব্যাট হাতে করেছেন ৩১৫ রান। বল হাতে পাঁচ উইকেট। সবমিলিয়ে এবারের বিপিএলে রাজশাহীর কি-প্লেয়ারদের একজন তরুন এই সেনসেশন।
৪. শহীদুল ইসলাম (খুলনা টাইগার্সের): এই পেসারের বিপিএলে আবির্ভাব ঘটেছিল ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে। এবারের বিপিএলে মুশফিকের দলে দারুণ খেলছেন শহীদুল। ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট পাওয়া শহীদুল আলোচনায় আসেন রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সপ্তম সেরা উইকেট শিকারী এই বোলার।
৫. হাসান মাহমুদ (ঢাকা প্লাটুন): ২০ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারের যে কারনে ফোকাসে আসেন, তা হলো গতি। ঘন্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়া হাসান মাহমুদের বোলিংয়ের বাড়তি সংযোজন বৈচিত্র। ১০ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট পাওয়া তরুণ এই ফাস্ট বোলারের সর্বোচ্চ শিকার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩২ রানে ৪ উইকেট। ২২ গজে দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বল করতে পারা মাহমুদও চলতি বিপিএলের নয়া আবিস্কার।