সানিউজ্জামান সরল »
রাত পোহালেই কুয়াশাচ্ছন্ন এক আগমনী বার্তা দিয়ে হাজির হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৫ম ও শেষ পর্ব। এই পর্বেই আসরের যত রোমাঞ্চের সাক্ষী হবেন দর্শকরা। কেউ উড়বে নিজ দলের সফলতার মহানন্দে আর কেউবা ভেঙে পড়বে নিজ দলের চরম ব্যর্থতায়। এই রোমাঞ্চকর সমাপনী পর্ব বরাবরের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হবে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর এর জন্য ঠিকঠাক প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছে মিরপুর।
আগামীকাল (৭ জানুয়ারি) বিপিএলের শেষ রাউন্ড মাঠে গড়ানোর আগে আজ (৬ জানুয়ারি) মিরপুরে সেরে নেওয়া হয়েছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। এদিন (আজ) গ্রাউন্ডসম্যান থেকে শুরু নিরাপত্তাকর্মীরাও কাটিয়েছেন ব্যস্ত এক সময়। তাছাড়া মাঠের ঘাস উত্তমরূপে রূপদান করা হয়েছে। সর্বোপরি, শের-ই-বাংলার যত খুটিনাটি আছে তা একেবারে সাজানো হচ্ছে নিখুঁতভাবে। উদ্দেশ্য একটাই, সেটা বিপিএলের অন্তিম পর্ব।
মাঠের প্রস্তুতির সাথে সাথে কয়েকটি দলকে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে মিরপুরের একাডেমি মাঠেও। আগামীকাল মাঠে নামার আগে তারাও সেরে নিয়েছে নিজেদের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, এ তিনের সমন্বয়ে বেশ ভালোভাবেই অনুশীলন সেরে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
একাডেমি মাঠ ছেড়ে হঠাৎ পৌঁছালাম শের-ই-বাংলার ২২ গজে। আর সেখানে দেখা মিললো অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার। কেবল অপ্রত্যাশিতই নয়, এ যেন চোখ কপালে উঠার মতো এক ঘটনা। নিজ দলের আজ ছিল না কোন অনুশীলন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে অনুশীলন করা থেকে বিরত রাখা যায় নি। নিজ দায়িত্বেই প্রস্তুতির ষোলকলা পূর্ণ করলেন তিনি। এ ঘটনার সাক্ষী হয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম বটে।
সে যাইহোক, ব্যস্ত হোম অব ক্রিকেটে কাল মাঠে গড়াবে দুটি ম্যাচ। দিনের ১ম ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হবে পয়েন্টস টেবিলের তলানিতে থাকা সিলেট থান্ডার এবং দিনের ২য় অর্থাৎ সন্ধ্যায় হাই ভোল্টেজ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে লড়বে রাজশাহী রয়্যালস। একে একে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, পয়েন্টস টেবিলের ১ম চারটি দল কোয়ালিফাই করবে এবং তখনই বিপিএল পৌঁছাবে আসরের মূল প্রতিযোগিতায়। কে কাকে ছাড়িয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবে? তারই যেন এক উত্তাল মহারণ শুরু হবে এ সময়ে।
শিরোপা নিজেদের করে নিতে কোন দলই বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চাইবে না। একেবারে মরণকামড় দিয়ে বসবে দলগুলো। যে কোন মূল্যে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসতে কোয়ালিফাই করা প্রত্যেকটি দল। কোন দল পারবে আবার কোন দল হবে আশাহত। আর এরই মাঝে সমাপ্তি ঘটবে এবারের আসরের। তাই কিনা শের-ই-বাংলার সকল কিছুকে পুনরায় সাজানো হচ্ছে নিখুঁতভাবে এবং কোন রকম শূন্যস্থানহীনভাবে।