বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উইকেট তুলনামূলক ভালো: মাশরাফি

সানিউজ্জামান সরল »

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে প্রতিবারই ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক, সবার মাঝেই একটা আক্ষেপ থাকে। এই আক্ষেপের মূলে রয়েছে ধীরগতির উইকেট। ধীরগতির উইকেটে খেলতে কোন ক্রিকেটারই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তাছাড়া এই উইকেটগুলোতে বড় রানের দেখা মিলেই না, বলা চলে। যা দর্শকদের কাছে খুবই বিরক্তিকর। কেননা, তারা টি-টোয়েন্টি উপভোগ করতে আসে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ভেজার জন্য। বিপিএলের গত আসরগুলোর উইকেট, বিশেষ করে মিরপুরের উইকেটে যেন বড় রান প্রত্যক্ষ করতেই পারতো না দর্শকরা।

তবে এবার যেন উইকেট নিয়ে দীর্ঘদিনের আক্ষেপ আর অভিযোগ ঘুচে গেছে। কেননা, এবারের উইকেট যেন প্রতিনিয়তই চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে বেষ্টিত। ব্যাটম্যানরা রান পাচ্ছে, দর্শকরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভালোভাবেই উপভোগ করছে। আর তাছাড়া এবারের উইকেটগুলোতে স্পিনারদের সাথে সাথে পেসাররাও পাচ্ছে সমান সুবিধা। সবমিলিয়ে এবারের বিপিএলে উইকেট হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের।

সবার মতো এবারের উইকেট মনে ধরেছে স্বয়ং ওয়ানডে কাপ্তান মাশরাফিরও। তিনি মনে করেন, এই উইকেট লোকাল ক্রিকেটারদের অনেকটা আত্নবিশ্বাসী করে তুলবে। কারণ আন্তর্জাতিক কোন টুর্নামেন্টে সাধারণ এই ধরণের উইকেট গুলোতেই খেলা হয়। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসর। এবারের বিপিএলের উইকেটে পারফর্ম করা লোকাল ক্রিকেটারদের, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উইকেটে বোলিং বা ব্যাটিং করতে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

গতকাল (১৮ ডিসেম্বর) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্লাটুন কাপ্তান মাশরাফি। এ সময়ে মাশরাফি জানান, ‘এবারের বিপিএলে তুলনামূলক উইকেট ভালো হয়েছে। যার ফলে খেলাও ভালো হচ্ছে। আসলে এটা লোকাল ক্রিকেটারদের জন্য বড় একটা সুযোগ করে দেওয়া। কেননা বাংলাদেশ যখন এশিয়ার বাইরে অথবা অন্য কোথাও টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে, তখন এমন উইকেটি পাবে। তখন বোলারদেরও একটা আত্মবিশ্বাস থাকবে এবং ব্যাটসম্যানদেরও একটা আত্মবিশ্বাস থাকবে। কারণ তারা আগেও এই উইকেটে খেলেছে।’

‘আপনি যদি দেখেন, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের কাছে অনেকগুলো অপশন থাকে। একটা কাজে না লাগলে তারা অন্যটা ইউজ করে সফল হতে পারে। তবে আমাদের সেই সুযোগটা ছিল না। আমাদের বোলারদের মূল লক্ষ্য ছিল, নিজের শক্তির জায়গা কোনটা? সেই জায়গায় তারা সবসময় বল করার চেষ্টা করতো। তবে এসব উইকেটে বোলাররা বল করলে বুঝা যাবে, তাদের শক্তির জায়গা বাড়াতে হবে। তারা বুঝতে পারবে যে, তাদের হাতে যেন আরো অপশন থাকে। একটা কাজে না লাগলে যাতে আরেকটা ব্যবহার করা যায়। যা আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাজে লাগবে।’ _যোগ করেন মাশরাফি।

উল্লেখ্য, বিপিএলে মিরপুরের উইকেট নিয়েই বেশি ভোগান্তিতে পড়তো ক্রিকেটাররা। শের-ই-বাংলার চিরচায়িত আনপ্রেডিক্টেবল এই উইকেটটাই যেন এবার আচরণ করছে একটি ট্রু উইকেটের ভূমিকায়। যা লোকালদের এখন থেকেই তৈরি হওয়ার একটি ভালো মাধ্যম। লোকালরা যদি এই উইকেট গুলোর সুবিধা কাজে লাগাতে পারে, তবে সামনে ভালো করার সুযাগ আছে।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »