নিউজ ডেস্ক »
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ বকেয়া পারিশ্রমিক চাইতে যেয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তার বাজে ব্যবহারের শিকার হন। রুমানা গত ঢাকা লীগে দলটির অধিনায়ক ছিলেন। গত বছর শেষ হওয়া ঢাকা লীগে খেলা দলটির কোন ক্রিকেটার পারিশ্রমিকের পুরো টাকা বুঝে পাননি।
ক্লাবটির কর্মকর্তারা রুমানাকে দায়িত্ব দেন দল গঠন করার। সেই মোতাবেক সে শক্তিশালী দল গঠন করে। লীগ চলাকালীন সময়ে পারিশ্রমিকের কিছু টাকা দেওয়া হয় ক্রিকেটারদের। এরপর বছর ঘুরে গেলেও বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না তারা। এই ব্যাপারে বিসিবির কাছে অভিযোগ করেও কোন সমাধান পান নি ক্রিকেটাররা।
গত কিছুদিন আগে দলটির অন্যান্য ক্রিকেটাররা রুমানাকে চাপ দেয় ক্লাব কর্মকর্তাদের কাছে টাকা চাইতে। রুমানা টাকা চাইলে খুবই দুর্ব্যবহার করে ক্লাবকর্তারা। এক পর্যায়ে গালি গালাজ ও শুনতে হয়েছে রুমানাকে।
অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার রুমানা দেশের জনপ্রিয় একটি নিউজ পোর্টালকে জানায়, ‘আমাদের কোন ক্রিকেটারেরই পুরো টাকা পরিশোধ করেনি ক্লাবটি। আমার সতীর্থরা আমাকে টাকা চাইতে অনুরোধ করে। আমি দলের ম্যানেজারের কাছে ফোন করে টাকা চাইলে তিনি খুব বাজে ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে গালি গালাজ শুরু করেন। আমি খুবই হতবাক।’
রুমানা আরো জানান, ‘আমার সাথে চুক্তি হয়েছিল ৭ লাখ টাকার। ওরা আমাকে মাত্র ৩ লাখ টাকার মত দিয়েছে।’
এই ব্যাপারে দলটির ম্যানেজার জাকির হোসেনের কাছে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আসলে বাজেট পরিকল্পনায় কিছু ভুল ছিল, তাই কিছু ক্রিকেটারের টাকা পাওনা রয়ে গেছে৷ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা দিয়ে দিব।’
বাজে ব্যবহারের ব্যাখ্যায় তিনি দোষ চাপান রুমানার উপর। তিনি বলেন, ‘ও আমার সাথে আগে বাজে ব্যবহার করেছে।’
মূলত বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নারী ক্রিকেটারদের আর্থিক সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এমনিতেও তারা পুরুষ ক্রিকেটারদের চাইতে বহুগুণ কম পারিশ্রমিক পান।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১৫ পিএম
নিউজক্রিকেট/এমএস