নিউজ ডেস্ক »
বয়সের ছাপ এখনো ২২ গজে পড়তে দেননি পাকিস্তানি অলারাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট কিংবা জাতীয় দলের খেলা সবখানেই দলের কঠিন বিপর্যয়ে ঢাল হয়ে থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ। গতকাল পিএসএলে তার দলের টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পরও একাই দলকে জেতালেন তিনি। করেছেন ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস। আর এই জয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো তামিমের লাহোর কালান্দার্স।
ইনিংসের শুরুতে সিঙ্গেল নিয়ে রাহাত আলীকে দুই চার মেরে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের আভাস দেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে ফখর জামান ফিরে গেলেও চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগে সাকিব মাহমুদকে ছক্কা মারেন তামিম। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও শর্ট বল দেন সাকিব। এবারও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ভুলবসত ইমাম উল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ২ চার ও ১ ছয়ে ১০ বলে ১৮ রান করেন তামিম।
পরের গল্পটা শুধু হাফিজময়। তবে দলকে জেতাতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে সহায়তা করেছেন বেন ডাঙ্ক ও সামিত প্যাটেল। যদিও তারা ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। শুরুর দিকে ভালো করলেও শেষের দিকে বেশ খরুচে ছিলেন সাকিব, ৪১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জালমির দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমাম উল হক ও হায়দার আলী । ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কোন রান করেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হায়দার। এরপর শোয়েব মাকসুদ দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেননি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলকে রানের চাকা সচল রাখেন ফাফ ডু প্লেসি ও শোয়েব মালিক। যদিও ২৫ বলে ৩১ রান করে ডু প্লেসি আর ২৪ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান মালিক। আফ্রিদি, হারিস রউফ আর দিলবার হোসেনের পেস তাণ্ডবে শঙ্কা জাগে দলীয় রান দেড়শো না হওয়ার। তবে শেষ দিকে হার্দুল ভিলজোয়েন ৩ ছক্কা আর ৩ চারে মাত্র ১৬ বলে ৩৭ রানের বিধ্বসী ইনিংস খেলেন ভিলজোয়েন। যেখানে রউফের শেষ ৯ বল থেকে ৩০ রান নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার। তাতে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তুলে জালমি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পেশোয়ার জালমি: ১৭০/৯ (ওভার ২০) ; (শোয়েব মালিক ৩৯, হার্দুল ভিলজোয়েন ৩৭, দিলবার হোসেন ৩/৩৩)
লাহোর কালান্দার্স: ১৭১/৫ (ওভার ১৯) ; (মোহাম্মদ হাফিজ ৭৪*, সামিত প্যাটেল ২০, সাকিব ৩/৪১)
