নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
বিরুদ্ধ কন্ডিশন, কঠিন সব প্রতিপক্ষ। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অভিযানে কতটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, নমুনা কিছুটা পাওয়া গেল প্রস্তুতি ম্যাচে। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের সঙ্গে ব্যাটে-বলে লড়াই তেমন জমাতে পারল না বাংলাদেশ। তবে দল ভালো না করলেও শারমিন আক্তার প্রস্তুতি সেরে নিলেন দারুণ ইনিংস খেলে।
মেয়েদের বিশ্বকাপের আগে প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ১০৯ রানে।
নিউ জিল্যান্ডের লিঙ্কনে সোমবার ন্যাটালি সিভারের সেঞ্চুরি ও লরেন উইনফিল্ড-হিলের সেঞ্চুরিতে ইংলিশরা ৫০ ওভারে কোলে ৩১০ রান। বাংলাদেশ শেষ ওভারে অলআউট হয় ২০১ রানে।
দুইশ ছাড়ানো সম্ভব হয় শারমিনের ৮১ রানের সৌজন্যে। তিনে নেমে শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৮১ রান করেন এই ব্যাটার।
টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংলিশদের। কিন্তু শুরুটা ভালো করতে পারেননি তার বোলাররা। ইংল্যান্ডকে শক্ত ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার উইনফিল্ড-হিল ও ট্যামি বিউমন্ট।
ম্যাচের প্রথম বলে জাহানারা আলমকে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন উইনফিল্ড-হিল। ওই ওভারে বল সীমানায় পাঠান বিউমন্টও। নতুন বলে দুই পেসার জাহানারা ও সুরাইয়া আজমিন পারেননি ইংলিশ ওপেনারদের আটকে রাখতে। ১৩ ওভারে ৮০ রান তুলে ফেলেন দুজন।
৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নাহিদা আক্তার। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে পুল করে সুরাইয়ার হাতে ধরা পড়েন বিউমন্ট (৩৮)।
পরে ওভারে রিতু মনিকে টানা দুটি বাউন্ডারি মেরে উইনফিল্ড-হিল ফিফটিতে পা রাখেন ৩৭ বলে।
একটু পর রিতু মনিই থামান উইনফিল্ড-হিলের ঝড়ো ইনিংস। ৪৩ বলে ৫৫ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি ইয়র্কার ডেলিভারিতে।
ইংল্যান্ডকে অবশ্য বিপাকে পড়তে হয়নি। তৃতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক হিদার নাইট ও ন্যাটালি সিভার।
নাইটকে ২৭ রানে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন লতা মণ্ডল। তবে সিভারকে থামানো যায়নি। অ্যামি জোন্স, ড্যানি ওয়াটদের নিয়ে তিনি এগিয়ে নেন দলকে।
রিতু মনিকে পুল করে বাউন্ডারি মেরে সিভার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯৮ বলে। শেষ দিকে এমা ল্যাম্ব ২০ বলে করেন ২৮।
বোলারদের হতাশার দিনে পেস সহায়ক কন্ডিশনেও বাংলাদেশের সফলতম বোলার নাহিদা। ৪৯ রানে বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ৩ উইকেট।
বাংলাদেশের রান তাড়ায় শামিমা সুলতানা শুরুতে কয়েকটি বাউন্ডারি আদায় করে নেন। তবে আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুন
একবার জীবন পেয়েও শামিমা পারেননি ইনিংস বড় করতে। তার ৭ চারের ইনিংস শেষ হয় ৩৩ রানে।
শুরুতে জীবন পান শারমিনও। তিনি তা কাজে লাগান পুরোপুরি। তবে তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো উপযুক্ত কেউ ছিল না এ দিন।
অধিনায়ক নিগার ফেরেন ২৭ বলে ১২ করে, অভিজ্ঞ রুমানা আহমেদ ২০ বলে ১২। শারমিন কেবল একটা প্রান্ত আগলে রেখে হাল ধরে রাখেন ইনিংসের।