দুর্জয় দাশ গুপ্ত, সিলেট থেকে »
মাশরাফি সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে৷ সেই বিশ্বকাপে মাশরাফির বাজে ফর্ম নিয়ে সমালোচনা চলেই আসছিলো। এর পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন নি অনেকদিন। বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কা সিরিজে ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না।
দলের টানা ব্যর্থতার সময়ে বল হাতে মাশরাফিও ছিলেন ব্যর্থ। সব মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ উইকেটশূন্য ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। আর এসব নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে নিয়মিতই।
লম্বা বিরতির পর আজ সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামেন ম্যাশ। লম্বা বিরতির পর খেলতে নেমেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। প্রথমে চিভাবা এরপর জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট মুতুমবোদজিকে শিকার করে উইকেট খরা যেমন কাটিয়েছেন তেমনি গড়েছেন অনন্য এক কীর্তি। ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৭০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা।
এই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে এই রেকর্ডের পাশাপাশি গড়েছেন আরো একটি রেকর্ড। ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে ১০০ উইকেট নেওয়ার অনন্য এক রেকর্ড করেছেন মাশরাফি। তবে এমন কীর্তি মাশরাফির আগে গড়েছেন আরো চারজন কিংবদন্তি। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম (১৫৮) আছেন এই তালিকার শীর্ষে৷ তার পরেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শন পোলক (১৩৪)৷ তৃতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান (১৩১) আর চতুর্থ স্থান দখল করে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার (১০১)।