নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
কেন রিচার্ডসন ও জাই রিচার্ডসনের দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে লেগ স্পিনার ভানিন্দু হাসারাঙ্গার নৈপুণ্যে সেটাও হয়ে ওঠে কঠিন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেরে ওঠেনি শ্রীলঙ্কা। টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল সফরকারীরা।
কলম্বোয় বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ৩ উইকেটে। ১২৪ রান পেরিয়ে গেছে ১৩ বল বাকি থাকতে।
৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার কেন রিচার্ডসন। ব্যাট হাতেও অবদান রাখা জাই রিচার্ডসন ৩ উইকেট নেন ২৬ রানে। তবে ভীষণ চাপের মধ্যে নেমে দলকে জিতিয়ে ফেরা কিপার-ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারে পাথুম নিসানকাকে বিদায় করেন জাই রিচার্ডসন। ঝড় তোলার আগেই দানুশকা গুনাথিলাকাকে থামান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
চারিথ আসালঙ্কা ও কুসল মেন্ডিসের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মূলত এক-দুই নিয়ে খেলেছেন তারা। নিজের জোনে পেলে বা বাজে বল পেলে মেরেছেন বাউন্ডারি।
তাদের ব্যাটেই আসে ম্যাচের একমাত্র পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। দ্বাদশ ওভারে এক পর্যায়ে স্বাগতিকদের রান ছিল ২ উইকেটে ৭৩ রান। এখান থেকে দেড়শ রান অসম্ভব ছিল না।
তবে আগের দিনের মতো এই ম্যাচেও শেষের দিকে ব্যাটিং ধসে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩৩ বলে ৩৯ রান করা আসালঙ্কাকে বিদায় করে ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন ম্যাক্সওয়েল।
জাই রিচার্ডসনের বলে হিট উইকেট হয়ে বিদায় নেন মেন্ডিস। এক ছক্কা ও দুই চারে তিনি ৩৬ বলে করেন ৩৬।
দৃঢ় ভিতের সুবিধা নিতে পারেননি লঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ভানুকা রাজাপাকসেকে বিদায় করে নিজের প্রথম উইকেট নেওয়ার পর চার বলের মধ্যে দাসুন শানাকা, চামিকা করুনারত্নে ও দুশমন্থ চামিরাকে বিদায় করেন কেন রিচার্ডসন। মাঝে দুই বাউন্ডারিতে ১২ রান করা হাসারাঙ্গাকে থামান জাই রিচার্ডসন।
রান তাড়ায় ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। চারটি চারে ১৩ বলে ২৪ রান করা ফিঞ্চকে থামিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। পরে দ্রুত বিদায় করেন মিচেল মার্শকে।
স্টিভেন স্মিথের দ্রুত বিদায়ের পর ওয়ার্নারও (১০ বলে ২১) আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ছক্কায় ঝড়ের আভাস দিলেও দুই অঙ্কের আগে থেমে যান মার্কাস স্টয়নিস।
নিজের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাশটন অ্যাগারকে বিদায় করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন হাসারাঙ্গা। তার শেষ বলে একটুর জন্য বেঁচে যান জাই রিচার্ডসন। তাকে নিয়েই দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাকিটা সারেন ওয়েড।
রান রেটের কোনো চাপ ছিল না। তবে এরপর মূল ব্যাটসম্যান বাকি না থাকায় চাপ ছিল। ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দিয়েই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ওয়েড। দুই চারে ২৬ বলে অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে।
হাসারাঙ্গা ৪ উইকেট নেন ৩৩ রানে।