নাফিসুল হক »
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে দল বদলের সময়ই প্লেয়ারদের এবং ক্লাবদের কিছু শর্ত দেয় বিসিবি এবং সিসিডিএম। এইবার ডিপিএলে প্লেয়ার ড্রাফট ছিলো উম্মুক্ত।
উম্মুক্ত প্লেয়ার ড্রাফটস এর মতোই প্লেয়ারদের পাওনা ঠিক মতো পরিশোধ করে দিতে বলে বিসিবি। এইবার নিয়ম অনুযায়ী তিন কিস্তিতে পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার শর্ত দিয়েছে বিসিবি। শর্ত অনুযায়ী প্লেয়ার তার পাওনা টাকার ৫০ শতাংশ পাওয়ার কথা দল বদলের পর পরই। বাকি ২৫ শতাংশ প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়ার পর এবং বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। প্লেয়ার ড্রাফটসে গ্যারান্টর হিসেবে ছিল বিসিবি। সেই অনুযায়ী প্লেয়ার্স পেমেন্ট মনিটরিং করেছে সিসিডিএম এবং বিসিবি।ক্লাব গুলোর কাছ থেকে শর্ত অনুযায়ী পেমেন্টের কপি জমা নিয়েছে। ক্লাব পেমেন্ট থেকে আয়কর কেটে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে দিয়েছে জমা।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে লীগ শুরু হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন ক্লাব ক্রিকেটারদের পেমেন্টের কপি সিসিডিএমকে বুঝিয়ে দেয়নি এখন পর্যন্ত।আয়করও জমা পড়েনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে।প্লেয়ার্স ড্রাফটে সকল ক্রিকেটারের পাওনা আদায়ের দায়িত্বটা বিসিবি নেয়ায় ক্লাব শর্ত পালনে ছিল বাধ্য।
সেক্ষেত্রে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দল-বদলে এতোটাও কঠোর হতে পারবে না বলে মনে করছেন সিসিডিএম সদস্য সচিব আলী হোসেন। তিনি বলেন, ‘উন্মুক্ত দল-বদলে ক্রিকেটারদের সাথে আর্থিক চুক্তির বিষয়টাই তো ক্লাব গোপনীয় রাখে। লিগ শেষে ক্লাবগুলোর কাছে পেমেন্টের কপি চাইব। কিন্তু আমার মনে হয় না এই পদ্ধতিতে দল-বদলে ক্রিকেটারদের বকেয়া পেমেন্টের দায়িত্বটা সিসিডিএম নিতে পারবে। কোন ক্রিকেটার যদি অভিযোগ করে,এবং সেই অভিযোগের সাথে চুক্তিপত্র সহ প্রয়োজনীয় প্রমানাদি উপস্থাপন করে, তাহলে হয়তবা ক্লাবকে চাপ দেয়া যাবে।’