নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩য় দিন শেষ করে আফগানিস্তান। চতুর্থ দিনে ২ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামলেও সুবিধা করতে পারি নি আফগান ব্যাটসম্যানরা, ২৩ রান যোগ করেই গুটিয়ে যার তারা। যার ফলে ৩৯৮ রানের বিশাল এক লক্ষ্য দাঁড় করায় আফগানিস্তান। আর এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপাকে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই দিনে ১৩৬ রানেই ৬ উইকেট খুইয়ে বসেছে তারা। ফলে এটা বলায় যায়, হারের শঙ্কায় স্বাগতিকরা। চতুর্থ দিনে পাহাড়সম ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে আফগানদের ভয়ঙ্কর স্পিন ঘূর্ণির সম্মুখীন হয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
ওপেনার সাদমান এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে ৪ উইকেটের পতন ঘটে। ফলে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে ৪১ রান করে সাদমানও তার মনোযোগ হারিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে অগ্রসর হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে প্রতিরোধ গড়লেও তৃতীয় সেশনে আর থিতু হতে পারেননি তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন মাহমুদউল্লাহ। তিনিও যখন কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে গেলেন, তখন ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের দল বাংলাদেশ। আর এর পরেই শুরু হয় বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ বৃষ্টি। তখন ক্রিজে ছিলেন সৌম্য সরকার ও কাপ্তান সাকিব আল হাসান। সাকিব ৩৯ ও সৌম্য ০ রানে আছেন অপরাজিত।
চতুর্থ দিনে বৃষ্টি বিঘ্নতায় নির্ধারিত সময়ের আগে খেলা শেষ হওয়ায় পঞ্চম ও শেষ দিনে খেলা শুরু হবে সকাল ১০ঃ৩০টার জায়গায় ৯ঃ৩০ টায়। তবে একটা কথা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে, বৃষ্টি না হলে এই টেস্ট বাচাঁনো টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য একরকম অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। কেননা এই টেস্টের ৫ম ও শেষ দিনে মাত্র চার উইকেট হাতে নিয়ে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ফলে টেস্ট বাচাতে হলে সাকিব-সৌম্যদের ম্যাজিক্যাল কোনো কিছু করে দেখাতে হবে। দেখা যাক এখন কি হয়।
তবে একটা মজার বিষয় হলো– চট্টগ্রামের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছ থেকে জানা গেছে, কালকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এলাকা জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই বলায় যায়, কালকে বাংলাদেশী ভক্তদের প্রার্থনায় থাকবে চট্টলার মেঘময় আকাশ।