নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আচমকাই হুট করে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড। কারণ অজি দলের নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ইনজুরিতে পড়ায় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পান ওয়েড। ৩২ বছর বয়সে এই নতুন দায়িত্ব পাওয়াই এটাকে তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রাপ্তি মনে করছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলে বাইরে ছিলেন ওয়েড। দলে ফেরার মিশনে ২০১৮-১৯ মৌসুমে তাসমানিয়া এবং হোবার্ট হ্যারিকেনসের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ফলস্বরূপ ২০১৯ সালে এ্যাসেজের মাধ্যমে তিন বছর পর আবারো জাতীয় দলে ডাক পান। পুরো এ্যাসেজ খেলে পাঁচ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
তবে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন ওয়েড। ফিঞ্চের ইনজুরির সুবাদে পেয়েছেন দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ। দল না জিতলেও ব্যাট হাতে ৫৮ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। এটাকে ক্যারিয়ারের পুনরাভিষেক মনে করছেন ওয়েড। এজন্য নিজেকে ভিন্ন রকম ক্রিকেটার বলেও মনে হচ্ছে তাঁর।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ওয়েড বলেন,”হ্যা এখন আমার বয়স ৩২ বছর। আমি অনেকদিন ধরে দলের বাইরে ছিলাম। কিন্তু এখন আমাকে একজন অন্যরকম খেলোয়াড় মনে হচ্ছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি যেন কয়েকবছর আগে আবারো নতুন করে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছি। মনে হচ্ছে ৩০ বছর বয়সে আবারো অভিষেক ঘটলো আমার।”
ওয়েডের আগে অনেক কিংবদন্তী ক্রিকেটারই অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাদের কাজগুলো ওয়েডকে অধিনায়কত্ব করতে সাহায্য করেছে। দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারার গর্বিত এবং সম্মানিত বোধ করছেন বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ওয়েড বলেন,”এর আগে অনেকেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অধিনায়কত্ব করেছে। বর্তমানে এটা আমার কাজটাকে আরো সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু হ্যা, আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত অনুভব করছি।”