জাকির মামুন »
কি খেলাই না খেলেছেন মেয়েটা! ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করেছেন পায়ের জাদুতে৷ মনে আছে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা , বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব -১৯ দলের নারী ফুটবলার উন্নতি খাতুনের কথা? মুগ্ধতা ছড়িয়ে সাড়া জাগিয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনে ৷
সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বর্নপদক পান দেশসেরা নারী ফুটবলার উন্নতি খাতুন৷
উন্নতিকে অনেকেই চিনে তার কর্মগুনে!
কিন্তু কিভাবে কোথায় থেকে উঠে এসেছে তা কম সংখ্যক লোকেই জানে৷ সফলতার গল্পের পিছনে কষ্টের যে একটা গল্প আছে!
দেশসেরা নারী ফুটবলারের বাবা দাউদ শেখ পেশায় একজন ভ্যানচালক৷ ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান৷ দৈনিক আয়ে বাজার হয়, কোনোমতে সংসার চলে৷করোনা ভাইরাসের কারনে পুরো বাংলাদেশের মানুষ ঘরবন্ধী৷ দুঃসহ অন্ধকার নেমে আসে অনেকের সংসারে৷ তেমনটা ঘটেছে উন্নতিদের সংসারে ও ৷ সংসারে উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তি উন্নতির পিতা দাউদ শেখ। করোনা ভাইরাসের কারনে ভ্যান নিয়ে বের হতে পারছেন না তিনি৷ ফলে খাবার সংকটে পড়েন তার পরিবার৷
এমন সংবাদ পেয়ে RAB-৬ এর খুলনার অধিনায়ক লে : কর্নেল রওশনুল ফিরোজ এর নির্দেশনায় ঝিনাইদহ র্যাব কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ উন্নতির গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার দোহারো ছুটে যান। পরিবারের সবার সাথে কথা বলেন৷ এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ রবিবার বিকেলে দেশসেরা এই নারী ফুটবলার উন্নতির পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও এক মাসের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
র্যাবের এমন সহায়তা পেয়ে উন্নতি খাতুন বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের অভারের সংসার। তারপর আবার করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ থাকায় বাবা ঘরে বসা। এতে আমাদের সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। এমন সময় র্যাব-৬ আমার পরিবারের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। আমি ও আমার পরিবার র্যাব-৬ এর প্রতি কৃতজ্ঞ।’