সাজিদা জেসমিন »
শেষ হচ্ছে ২০১৯। আসছে নতুন বছর৷ আর এ-ই নিয়ে সবাই মাতোয়ারা বিশ্ব সেরা একাদশ নির্বাচনে। দর্শক মহলেও চলছে টান টান উত্তেজনা। বিসিবি সভাপতির কাছেও জানতে চাওয়া হলো ২০১৯ এ-র পরিসংখ্যান। কেমন কাটলো ২০১৯, আর কেমন প্রত্যাশা পরবর্তী বছর নিয়ে? – এর জবাবে গণমাধ্যমে পাপনের মন্তব্য ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে।
এ-ই বছরের শুরুটা হয় নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। শুরুটা তেমন একটা ভালো হয়নি। এরপর ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা করলেও থেমে গেছিলো ভাগ্যরথ। এরপর আবার সিরিজে বাজে হারের পর যখন ভারতকে প্রথম ম্যাচে হারায়, তখন আত্নবিশ্বাস পুনরায় জন্মেছিলো। কিন্তু ইতি টানতে হয় টেস্টে বাজে হার দিয়ে।
সময়টা যেন ভালো কাটছেনা জাতীয় দলের। এ-ই বছরে প্রায় সিরিজে জয়ের খরায় ভুগেছে দল। আর নতুন বছরে প্রায় সিরিজ হবে দেশের বাইরে। তাই কিছুটা চিন্তিত দেখা গেলো বিসিবি সভাপতিকে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে তার মন্তব্য : ‘ দেখে থাকবেন বিদেশের মাটিতে জাতীয় দল এতোটা সফল নয়। দেশের মাটিতেই আমাদের প্রায়ই ম্যাচ ভালো হয়েছে। আর ২০২০ এ প্রায়ই ম্যাচ হবে দেশের বাইরে। তাই মনে হচ্ছে ২০২০ সাল অনেকটা কঠিন হতে যাচ্ছে। ‘
জাতীয় দল নিয়ে হতাশার পাশাপাশি আশার বাণী ও শোনা গেলো ভবিষ্যত দল নিয়ে। বর্তমানে অনুর্ধ্ব, এ দল, ইমার্জিং দলের তরুণদের নিয়ে অনেকটা আশাবাদী তিনি। এ-ই বছরটা ভালোই কেটেছে ঘরোয়া দলের। তাই যেন এক টুকরো আশার কিরণ দেখতে পেলেন বিসিবি সভাপতি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, – ‘ অনুর্ধ্ব -১৯ যে দলটা এ-ই দলের মতো শক্তিশালী দল আমরা কখনো বাইরে পাঠাইনি। বাইরের কন্ডিশনে এ বছর তারা যথেষ্ট ভালো করেছে৷ এছাড়াও এ দল,ইমার্জিং দল ও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। তাই ২০২০ কেমন হবে জানিনা, তবে আগামী ২/৩বছরে জাতীয় দল অনেকটা শক্তিশালী অবস্থানে যাবে বলে আমার বিশ্বাস’।
বিসিবি সভাপতির মন্তব্য থেকে মনে হলো তরুণদের উপর আস্থা রাখছেন তিনি। আর তাই এ বছর টা খারাপ গেলেও সামনের ২/৩বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুভ সময় ফিরে আসার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।