নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
নতুন বছরের শুরুতেই ক্রিকেটের নিয়মে দুটি পরিবর্তন আনছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল- আইসিসি। সর্বশেষ সংশোধনীতে আইসিসি স্টাম্পিং আউটের সিদ্ধান্ত দেয়া এবং কনকাশন (মাথায় আঘাত) বদলির নিয়মে পরিবর্তনে এনেছে আইসিসি।
প্লেয়িং কন্ডিশনে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এতো দিন স্টাম্পিং আউটের সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ার দেয়া ক্ষেত্রে স্টাম্পিংয়ের আউট যাচাইয়ের পাশাপাশি কট বিহাইন্ড হয়েছে কিনা সেটাও স্নিকো মিটার দিয়ে যাই করতেন তৃতীয় আম্পায়া। অনেক সময় স্টাম্পিং না হলেও কট বিহাইন্ডে ব্যাটার আউট হয়ে যেতো। পরিবর্তিত নিয়মে এখন থেকে স্টাম্পিং আউটের আবেদন তৃতীয় আম্পায়ার শুধু মাত্র স্টাম্পিংয়ের আউটের সিদ্ধান্তই জানাবেন। কট বিহাইন্ডের আউট হয়েছে কিনা সেটা যাচাই করতে পারবেন না তৃতীয় আম্পায়ার।
উইকেটকিপারের কাছে যদি মনে হয়, বল ব্যাটসম্যানের ব্যাট ছুঁয়ে সরাসরি তাঁর হাতে এসেছে এবং এরপর তিনি স্টাম্পিংও করেছেন, সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে রিভিউ (ডিআরএস) নিতে হবে। মাঠের লেগ আম্পায়ারই যদি স্টাম্পিংয়ের আবেদন না করে দেয় তবে সন্দেহ হলে কট বিহাইন্ডের জন্য নতুন করে রিভিউ নিতে হবে। কিংবা তৃতীয় আম্পায়ার যদি নট আউট দেয় সেক্ষেত্রেও সম্ভাব্য কট বিহাইন্ডের নতুন করে রিভিউ নিতে হবে। অর্থাৎ স্টাম্পিংয়ের আউটের আবেদনে ফিল্ডিং করা দল যেনো কোনোভাবেই ফ্রি রিভিউ ব্যবহারের সুবিধা না পায় সেজন্যই এই পরিবর্তন করা হয়েছে। গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
এ ছাড়া কনকাশন বদলির নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন কোনো ক্রিকেটারকে যদি কনকাশন বদলি হিসেবে মাঠে নামেন, তাহলে যার পরিবর্তে মাঠে নামছেন সেই ক্রিকেটারের ওপর যদি বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকে তবে কনকাশন বদলি ক্রিকেটারও বল করতে পারবেন না। এছাড়াও এখন থেকে মাঠে কোনো ক্রিকেটার চোট পেলে সে ক্রিকেটার মাঠে ৪ মিনিটের বেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না। বেশি সময় প্রয়োজন হলে মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। পরবর্তী ব্যাটার মাঠে নামবেন।
এছাড়া নো বল ডাকার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করা হয়েছে। এত দিন তৃতীয় আম্পায়ার শুধুমাত্র সামনের পায়ের নো হয়েছে কিনা সে সিদ্ধান্ত দিতেন। এখন থেকে তৃতীয় আম্পায়ার সব ধরনের নো বলে সিদ্ধান্ত মাঠের আম্পায়ারকে জানাতে পারবেন। অর্থাৎ নো বলের সিদ্ধান্ত দেয়া ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
নিউজক্রিকেট২৪/আরএ