ধোনি: দ্যা গ্রেট ক্যাপ্টেন

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

মহেন্দ্র সিং ধোনি। যে কিনা এক অনুপ্রেরণার নাম। যে কিনা এক অদম্য প্রতিভার নাম। ভারতের ক্রিকেট তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনি এই নামটাতে জড়িয়ে রয়েছে সাফল্য গাঁথার ইতিহাস। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন এই মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনি ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সকল ধরনের শিরোপা ভারতকে জিতিয়েছেন। আর সেই জন্যেই তো ভারতের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

ব্যক্তিগত জীবনে ধোনি:

মহেন্দ্র সিং ধোনি ১৯৮১ সালের ৭ই জুলাই বর্তমান ঝাড়খণ্ড অঞ্চলের রাঁচি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার সংক্ষিপ্ত নাম এমএস ধোনি। তিনি মাহি হিসেবে বেশি পরিচিত। ধোনির বাবার নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি, মায়ের নাম দেবকী সিং। ধোনির এক বড় বোন আছে নাম জয়ন্তী দেবী। তার উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। মহেন্দ্র সিং ধোনি ডান হাতে ব্যাটিং করেন। ধোনি মূলত উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ধোনির প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় ডিএভি জহর বিদ্যা মন্দির থেকে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোযোগ দিতে থাকেন। মূলত তিনি স্কুলে গোলরক্ষক হিসেবে খেলতেন। সেখানে তিনি ক্লাব পর্যায়ে খেলতেন এমনকি তিনি জেলা পর্যায়েও ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য যেই বলেই হোক না কেন ধোনি তার ফুটবল ক্যারিয়ার বেশিদূর এগোতে পারেননি। কারণ ভাগ্যতে তার ভিন্ন কিছু লেখা ছিলো। একবার স্কুলের ক্রিকেট টিমে একজন উইকেট কিপার দরকার ছিলো। তখন কাউকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। সেসময় কোচ গোলকিপার ধোনিকে দেখলেন এবং তাকে ক্রিকেটে নিয়ে আসলেন। সেই থেকে শুরু আর ধোনিকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর থেকে পুরোদমে ক্রিকেট খেলা চালাতে থাকেন। নিজের ক্যারিয়ারের মাঝে তিনি রেলের টিকিট কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ক্রিকেট ও রেলের টিকিট কালেক্টরের দায়িত্ব একসাথে সামলাতে না পেরে ঝুঁকি নিয়ে রেলের টিকিট কালেক্টরের দায়িত্ব ছেড়ে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন। বলা যায় এটিই ছিলো তার ক্যারিয়ারের মূল টার্নিং পয়েন্ট।

ক্রিকেটে ধোনির উত্থান:

মহেন্দ্র সিং ধোনি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন তার স্কুল জীবন থেকেই। শুরুতে ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তীতে তার স্কুলের কোচের নির্দেশে তিনি ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। উইকেট কিপার হিসেবে খেলা শুরু করেন। ধোনির ১৮ বছর বয়সে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয়। অভিষেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছিলেন ধোনি। ৬৮ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেছিলেন ধোনি। পুরো মৌসুমে মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ধোনি। সেই ৫ ম্যাচে ২৮৩ রান করেছিলেন ধোনি। এরপর দিলীপ ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেলেও তিনি সেখানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে খেলতে পারেননি। এরপর রেলের দলে খেলতে থাকেন এবং টিটির দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। কিন্তু এই জীবন বাদ দিয়ে আবারো ক্রিকেটে ফিরে আসেন ক্রিকেটে। আবারো রঞ্জি ট্রফিতে ফিরেন ধোনি। ২০০৩-২০০১৪ রঞ্জি ওয়ানডে ট্রফিতে আসামের বিপক্ষে প্রথম খেলায় অপরাজিত ১২৮ রান করেন এবং সেই মৌসুমে দেওধর ট্রফি জয়ের সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এবং সেই বছর তাকে ভারত ” এ ” দলে খেলার জন্য বিবেচনা করা হয় এবং জিম্বাবুয়ে সফরে যান। ২৩ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির।

টেস্ট ক্রিকেটে ধোনি:

২০০৫ সালের ২রা ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। টেস্ট ক্রিকেট থেকে ইতিমধ্যে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে অবসর নেন ধোনি।
টেস্টে ব্যাটিংয়ে ৯০ ম্যাচ খেলে ১৪৪টি ইনিংসে ব্যাট করেন ধোনি, যার ১৬টি ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন, রান করেছেন- ৪৮৭৬, সর্বোচ্চ- ২২৪, গড়- ৩৮.০৯, স্ট্রাইক রেট- ৫৯.১১, হাফ সেঞ্চুরি- ৩৩, সেঞ্চুরি- ৬, বাউন্ডারি- ৫৪৪, ওভার বাউন্ডারি- ৭৮
কিপিংয়ে ধোনি ৯০ ম্যাচে ১৬৬ টি ইনিংসে কিপিং করেছেন যার ডিসমিশাল করেছেন- ২৯৪টি, ক্যাঁচ নিয়েছেন- ২৫৬টি, স্টাম্পিং করেছেন- ৩৮টি, সর্বোচ্চ ডিসমিশাল এক ম্যাচে – ৬টি, ইনিংস প্রতি ডিসমিশাল- ১.৭৭১ টি।

ওয়ানডে ক্রিকেটে ধোনি:

ওয়ানডে ক্রিকেটে ধোনির অভিষেক হয় ২৩শে ডিসেম্বর ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে, চট্টগ্রামে। ধোনি সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ- ২০১৯ এ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ম্যানচেস্টারে, ৯ই জুলাই।
ধোনি ও পর্যন্ত ৩৫০টি ওয়ানডে খেলেছেন, যার ২৯৭টি ইনিংসে ব্যাট করেছেন, যার ৮৪টি ইনিংসে ব্যাট করেছেন, রান করেছেন- ১০৭৭৩, সর্বোচ্চ- ১৮৩*, গড়- ৫০.৫৭, স্ট্রাইক রেট- ৮৭.৫৬, হাফ সেঞ্চুরি- ৭৩, সেঞ্চুরি- ১০, বাউন্ডারি- ৮২৬, ওভার বাউন্ডারি- ২২৯।
ওয়ানডে ক্রিকেটে কিপিংয়ে ৩৫০টি ম্যাচে খেলে ৩৪৫টি ইনিংস কিপিং করেছেন, ডিসমিশাল করেছেন- ৪৪৪, ক্যাঁচ নিয়েছেন- ৩২১টি, স্টাম্পিং করেছেন- ১২৩টি, সর্বোচ্চ ডিসমিশাল- ৬টি ( ৫টি ক্যাঁচ, ১টি স্টাম্পিং ), ইনিংস প্রতি ডিসমিশাল- ১.২৮৬টি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধোনি:

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০৬ সালের ১লা ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে অভিষেক হয়। ধোনি সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতে, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে।
ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯৮ খেলে ৮৫টি ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন, অপরাজিত ছিলেন- ৪২টি, রান করেছেন- ১৬১৭, সর্বোচ্চ- ৫৬, গড়- ৩৭.৬০, স্ট্রাইক রেট- ১২৬.১৩, হাফ সেঞ্চুরি- ২টি, সেঞ্চুরি- নেই, বাউন্ডারি- ১১৬টি, ওভার বাউন্ডারি- ৫২টি
কিপিংয়ে ধোনি ৯৮ ম্যাচে ৯৭টি ইনিংসে কিপিং করেছেন, ডিসমিশাল করেছেন- ৯১টি, ক্যাঁচ নিয়েছেন- ৫৭টি, স্টাম্পিং- ৩৪টি, সর্বোচ্চ ডিসমিশাল- ৫টি , ইনিংস প্রতি ডিসমিশাল- ০.৯৩৮ টি

আইপিএল ক্রিকেটে ধোনি:

আইপিএল ক্রিকেটে ধোনির অভিষেক হয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে, পাঞ্জাব ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ১৯শে এপ্রিল ২০০৮ সালে। আইপিএল ক্রিকেটে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর হয়ে রাজিব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ১২ই মে ২০১৯ সালে।
ধোনি আইপিএল এ ১৯০টি ম্যাচ খেলেছেন যার ১৭০টি ইনিংসে ব্যাট করেছেন, অপরাজিত ছিলেন- ১৬৫টি রান করেছেন- ৪৪৩২, সর্বোচ্চ- ৮৪*, গড়- ৪২.২০, স্ট্রাইক রেট- ১৩৭.৮৫, হাফ সেঞ্চুরি- ২৩, সেঞ্চুরি- নেই, বাউন্ডারি- ২৯৭টি, ওভার বাউন্ডারি- ২০৯টি।
আইপিএলে কিপিং এ ধোনি ১৯০টি ম্যাচে ১৩৬টি ডিসমিশাল করেছেন, ক্যাঁচ নিয়েছেন- ৯৮টি, স্টাম্পিং করেছেন- ৩৮টি, ইনিংস প্রতি ডিসমিশাল- ০.৭১৫৭৯ টি।

মহেন্দ্র সিং ধোনির বিবাহিত জীবন:

মহেন্দ্র সিং ধোনির আগে একজনের সাথে প্রেম ছিলো তবে সেই প্রেমিকা গাড়ির অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়। এরপর ধোনির আরেকজনের সাথে প্রেম হয় , যার নাম ছিলো সাক্ষী রাওয়াত। সাক্ষীর সাথে ধোনির পরিচিত হয় কলকাতার তাজ হোটেলে। সেখানে সাক্ষী ইন্টার্নশিপে ছিলেন। এভাবে তাদের প্রেম শুরু হয়। এরপর ৪ জুলাই ২০১০ সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বাগদানের একদিন পর প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
তাদের বিয়ের ৫ বছর পর ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। যার নাম রাখেন জিভা।

মহেন্দ্র সিং ধোনির কিছু রেকর্ড সমূহ:

১. ফয়সালাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতীয় উইকেট রক্ষক হিসেবে সবচেয়ে কম বয়সে ৯৩ বলে ১৪৮ রান করে ধোনি তার সর্বপ্রথম সেঞ্চুরি করেন।

২. অন্তত ৫০টি ম্যাচ খেলা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ধোনির গড় সর্বোচ্চ।

৩. ধোনির ব্যাটিং গড় একদিনের ক্রিকেটে উইকেট রক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

৪. মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল প্রথমবারের মতো তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে ৩২০ রানের বিশাল ব্যবধানে অষ্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে।

৫. ধোনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩ রান করেন যা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা দলের পক্ষে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান।

৬. ক্যাপ্টেন হিসেবে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

৭. বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ম্যাচ ফিনিশার হচ্ছেন ধোনি।

৮. ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ রান ( ২২৪ * )।

৯. পৃথিবীর সর্বপ্রথম অধিনায়ক ধোনি যিনি কিনা ক্রিকেটের তিণটি ফরম্যাটেই ৫০ এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন।

১০. ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ধোনি সবচেয়ে বেশি ৬টি ক্যাঁচ লুফে নেন।

১১. ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫টি ক্যাঁচ ও ১টি স্টাম্পিং করে ধোনি ভারতীয় উইকেট রক্ষক হিসেবে প্রথম এবং গিলক্রিস্টের সাথে যৌথভাবে বিশ্বরেকর্ডধারী হন ধোনি।

১২. ওয়ানডে ক্রিকেটে ধোনি এক ইনিংসে ১০টি ছক্কা মারেন যা এক ইনিংসে ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয়।

১৩. উইকেট রক্ষক হিসেবে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ১৭২ রানের পর ১৮৩ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

১৪. ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে শন পোলকের গড়া রেকর্ড ভেঙে ধোনি ১৩৯ রানের ব্যাক্তিগত ইনিংস গড়েন।

১৫. অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ধোনি।

১৬. অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছেন ধোনি।

১৭. টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে একই সাথে অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক হিসেবে খেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

১৮. টি-টোয়েন্টিতে উইকেট রক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাঁচ ধরেছেন ধোনি।

১৯. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন ধোনি।

২০. টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট রক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিং এর মালিক ধোনি।

২১. টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ক্যাঁচ নিয়েছেন ধোনি উইকেট রক্ষক হিসেবে।

২২. আন্তর্জাতিক টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট রক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিশাল এর মালিক ধোনি।

মহেন্দ্র সিং ধোনির কিছু পুরষ্কার:

১. ধোনি চারবার ম্যান অফ দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন।

২. ধোনি ১৪ বার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন।

৩. আইসিসি ওয়ানডে প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার হয়েছেন চারবার।

৪. ক্যাস্ট্রোল ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার অফ দ্যা ইয়ার হয়েছেন।

৫. পদ্মভূষণ- ২০১৮ পদক।

৬. পদ্মশ্রী- ২০০৯ পদক।

৭. রাজীব গান্ধী গেল রত্ন- ২০০৭ পদক।

৮. সিএনএন আইবিএন ভারতীয় স্পোর্টস অফ দ্যা ইয়ার- ২০১১

৯. এমটিভি ইয়ুথ আইকন অফ দ্যা ইয়ার।

১০. আইসিসি অ্যাওয়ার্ড ফর স্পিরিট ক্রিকেট- ২০১১

১১. এলজি পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড- ২০১৩।

মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারতের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়, আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, এশিয়া কাপ ওয়ানডে জয়, এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি জয়, আইপিএল জয়।

মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তার নেতৃত্বে ভারত সকল ধরনের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো খেলোয়াড় যুগে যুগে আসে না।‌ মহেন্দ্র সিং ধোনির একটি স্পেশাল শট আছে যা ” হেলিকাপ্টার শট ” হিসেবে খ্যাত। মহেন্দ্র সিং ধোনি ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন। দেশকে বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ দেন। তার এই কীর্তির জন্য তাকে নিয়ে একটি ছবি তৈরি করা হয়ে যায় নাম ছিলো MS Dhoni: The Untold Story.

ধোনি এখনো ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাচ্ছেন পুরো দমে। যদিও তার অবসর নিয়ে সে এখনো মুখ খুললেননি। বলেছেন ২০২১ এর জানুয়ারির আগে অবসর বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। ধোনির মতো বিচক্ষণ ক্রিকেটার বারবার ফিরে আসুক ক্রিকেট বিশ্বে।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »