নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর প্রধান কোচ রাস ডোমিঙ্গো মিলে লম্বা এক পরিকল্পনার ছক একেছেন। যার অংশ হিসেবে তরুণ তুর্কিদের জাতীয় দলে সুযোগ দিয়ে পরখ করে দেখছেন। মূলত পাইপলাইন ঠিক কতটা মজবুত তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্যই এ উদ্যোগ কোচ এবং বিসিবির।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, “কোচ আগামী বিশ্বকাপ দুটোকে নিয়ে অবশ্যই একটা পরিকল্পনা করছেন। আর এই দুই বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই প্রধান কোচ নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা করে নিচ্ছেন। যাদেরকে আমরা চিনি, তাদেরতো চিনিই। ওরা যে বাদ পড়ে গেছে, তা না। আসলে নতুন কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা তাই দেখা হচ্ছে।”
বরাবরই লেগ স্পিনাররা যেনো আমাদের দেশে এক অবহেলার নাম। হোক সেটা জাতীয় দল বা ঘরোয়া লিগ। ঘরোয়া লিগে তো কোনো ফ্রাঞ্চাইজি তাদের সুযোগই দিতে চান না। এবার বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির অধীনে। নিজেদের অধীনে হওয়ায় জাতীয় দলের কথা চিন্তা করেই বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান বিসিবি বস। আর এর সাথে সাথে প্রত্যেক দলে একজন দেশী লেগ স্পিনার খেলানো হবে বলে জানান তিনি।
বিসিবি বসের ভাষ্যমতে, “আমাদের দেশে কিন্তু কয়েকটা লেগ স্পিনার আছে, নাই যে তা না। কিন্তু এই লেগ স্পিনারগুলোকে কেউ খেলায় না, এমনকি ক্লাবগুলোও খেলায় না। আমরা চাচ্ছিলাম, আমাদের সবগুলা লেগ স্পিনার খেলুক। আমাদের লেগ স্পিনে কিছু ঘাড়তি আছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও লেগ স্পিন খেলতে অতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তাই সব দলে আসন্ন বিপিএলের সব দলে একটা করে দেশি লেগ স্পিনার থাকবে, এটা আমাদের পরিকল্পনারই অংশ। তাছাড়া আমরা জোরে বল করা পেসারও খুঁজছি। সামনে যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই পেস বোলারদের বিকল্প নাই।”
উল্লেখ্য, যদিও বিসিবি সভাপতির মুখের কথাগুলো রূপকথার গল্পের মতোই মনে হচ্ছে। তবুও বিসিবি ও প্রধান কোচের এমন পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানাই।