সাজিদা জেসমিন »
হার্শেল গিবস, সাবেক এ-ই প্রোটিয়া যোগ দিয়েছেন সিলেট থান্ডারের কোচ হিসেবে। শেষ প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচ খেলেছেন ২০১২ সালে। এরপর কোচিং এর দিকে ঝুঁকে পড়েন। ৪৫ বছর বয়সে এসেও নিজেকে তরুণ মনে করেন এ-ই প্রোটিয়া। গণমাধ্যমের একটা বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আরো ১০ বছর ক্রিকেট খেলতে পারবো। অবশ্যই আমি মনে করি আমি খেলার জন্য যথেষ্ট তরুণ। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে অনেকগুলো লিগ শুরু হয়েছে যেগুলোর সুযোগ আমি নিতে পারি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ৯০ টেস্ট, ২৪৮ ওয়ানডে ও ২৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এই প্রোটিয়া এ-ই বয়সে এসেও দলের খেলোয়াড়দের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছি। কোচ হিসেবেও দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের দলের অনেক ক্রিকেটার এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি। এই বিপিএলটা তাদের জন্য বড় মঞ্চ। আমি চাই তারা তাদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখুক এবং নিজেদের প্রমাণ করুক।’
দলে বড় তারকা না থাকায় এবার সিলেট থান্ডার নিয়ে সবার মনেই ছিলো বেশ সংশয়। তবে এটাকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে পজেটিভভাবেই নিচ্ছেন গিবস। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অন্য দলগুলোর মত আমাদের দলে বড় তারকা নেই যার মানে আমরা বেশ স্বাধীনভাবে খেলতে পারবো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের জন্য চিন্তার কারণ এমন কয়েকজন ক্রিকেটার আছে তবে আমি মনে করি আপনি যতটা অচেনা হবেন ততটাই ভালো করার সম্ভাবনা থাকে। দলের সাথে আমার আড্ডা হয়েছে। তারা উদ্বিগ্ন নয় বরং উত্তেজিত, এটাই দারুণ লক্ষণ।’