দুর্জয় দাশ গুপ্ত »
১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালাতে শুরু করেন ঢাকা প্লাটুনের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। ভালো একটি শুরুর পরে বিজয় আউট হয়ে গেলেও এর প্রভাব পড়ে নি প্লাটুন দলে। বরং উল্টো রানের চাকা আরো দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে মেহেদী আর তামিমের ব্যাটে।
গত ম্যাচের মত এই ম্যাচেও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বাজিমাত করেছেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে মেহেদী মাত্র ২৮ বল খেলে করেছেন ৫৬ রান। অন্যদিকে রানের চাকা সচল থাকায় খুব একটা বেগ পেতে হয় নি তামিমকে। দেখেশুনে খেলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি৷ ৫৬ রান করা মেহেদী হাসান আউট হলে শেষ দিকে এসে আরেক তরুণ তুর্কি আনুষ্ঠানিকতা সেড়ে ফেলেন মাত্র ১১ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। জবাবে ৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে ঢাকা প্লাটুন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে মুখামুখি হয় ঢাকা প্লাটুন বনাম সিলেট থান্ডার্স। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট থান্ডার্সের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসানের করা দিনের প্রথম বলেই আউট হোন আন্দ্রে ফ্লেচার।
ক্যাচটা তালুবন্দি করেন মেহেদী হাসান নিজেই।
মেহেদী হাসানের প্রথম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ মিস করেন আসিফ আলী।
তারপর আব্দুল মজিদের সাথে ৩৮ বলে ৫১ রানের পার্টনারশীপ গড়েন জনসন চালর্স।
দলীয় ৫১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের শিকার হন আব্দুল মজিদ। আফ্রিদির বলে মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে মেহেদীর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরেন ১০ বলে ৮ রান করা আব্দুল মজিদ। বেশ দেখে শুনেই খেলে ফিফটির দেখা পান জনসন চালর্স। দলীয় ৯৩ রানে জনসন চালর্সকে ফেরান লেগ স্পিনার শাদাব খান।
জনসন চালর্স ১৬২.২ স্ট্রাইকে ৩ চার ও ৮ ছক্কায় ৪৫ বলে করেন ৭৩ রান।
দ্রুতই ফিরে যান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।
শেষের দিকে মিথুনের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সবোচ্চ ৪৯* রান আর রার্দারফোডের ব্যাট থেকে আসে ৩৮* রান।
দুইজন ৫ম উইকেটে গড়েন ৬৫ রানের জুটি ।
ঢাকা প্লাটুনের বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট পান শহীদ আফ্রিদি আর একটি করে উইকেট লাভ করেন মেহেদী হাসান।
স্কোরকার্ডঃ
ঢাকা প্লাটুনঃ ১৭৫/২ (১৮.৩) ; তামিম ৬০*, বিজয় ৩২, মেহেদী ৫৬।
সিলেট থান্ডারঃ ১৭৪/৪ (২০) ; চার্লস ৭৩, মিঠুন ৪৯*, রাদারফোর্ড ৩৮*।