সানিউজ্জামান সরল »
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চলমান আসরে ইস্ট জোনের হয়ে খেলছেন তামিম ইকবাল। পূর্বাঞ্চলের এই দলটির হয়ে গতকাল (১ ফেব্রুয়ারি) ২২২* রানে অপরাজিত থেকে ২য় দিনের খেলা শেষ করেন তামিম। আজ (২ ফেব্রুয়ারি) ২২২* রান নিয়ে খেলতে নামেন দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান। আর আজ খেলতে নেমেই নিজের রানটা পাহাড়সম করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তামিম। রান পাওয়ার তীব্র ক্ষুধা থেকে এক পর্যায়ে ক্যারিয়ারে ১ম বারের মত ২৫০ রান পূর্ণ করেন তামিম। নিজের খেলা ৩১৫ তম বলে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২৫০ পূর্ণ করেন তামিম। আর এরপর ৩০০ রানের ঐতিহাসিক এক ফিগারো ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।
৬ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) খেলতে নামেন তামিম ইকবাল। দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমেই তামিম করেছেন বাজিমাত। গতকালের (১ ফেব্রুয়ারি) ২০০’র মাধ্যমে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ২য় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন দেশের সবচেয়ে সফল এই ব্যাটসম্যান। ১ম ডাবল সেঞ্চুরি এসেছিলো প্রায় ৫ বছর আগে। সে সময় খুলনায় ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তামিম। ঠিক বছর পাঁচেক পর আবারো ২০০’র ম্যাজিক্যাল ফিগার। তবে এবার কেবল ২০০ তেই থামলেন না। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ১ম ‘৩০০’।
৩য় দিনে ২২২ রান নিয়ে খেলতে নামেন তামিম। ৩৬৫ বলের বিনিময়ে ২৭৯* রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যায় তামিম। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি তামিমের সামনে। আর মাত্র ৮ রান করতে পারলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭০০০ রান পূর্ণ হবে তার। ২৭৯* রান করা তামিম লাঞ্চ বিরতি শেষে খেলতে ২২ গজে নামেন তামিম। খেলতে থাকেন নিজ মহিমায়। এক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ৭ হাজার রানের পর ক্যারিয়ারের ১ম ‘৩০০’ রান পূর্ণ করতেও বেশি সময় নেয় নি তামিম। ৪০৭ বল থেকে ‘৩০০’ রানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তামিম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ২য় ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘৩০০’ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান। এর আগে রাকিবুল হাসান ৩০০ রানের দেখা পেয়েছিলেন। রাকিবুলের ইনিংসটি ছিলো ৩১৩ রানের। সে সময় ৩১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সে যাইহোক, তামিমের প্রানবন্ত ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। সত্ত্যিই দারুণ এবং মনে থাকার মত এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তামিম। দুরন্ত গতিতে ব্যাট চালিয়ে মধ্যাঞ্চলের দলটার বিপক্ষে অসাধারণ এক ৩০০ তুলে নিয়েছেন তিনি। দেশের সবচেয়ে সফল এই ব্যাটসম্যান সেন্ট্রাল জোনের বোলারদের কোন রকম পাত্তাই দেয় নি।
সহজাত ও ঠান্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়ে নিজের রান বাড়িয়ে নেওয়ার কাজটা করে যাচ্ছিলেন তামিম। সবমিলিয়ে তামিমকে বেশ নির্ভার লাগছিল। তাছাড়া শট সিলেকিশন ও চোখধাঁধানো বাউন্ডারিতে ইনিংসে নতুনভাবে মাত্রা যোগ করেছে। তামিম নিজের চির চেনা রূপে ব্যাট চালিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) এবং নিজের ক্যারিয়ারে ১ম বারের মত ‘৩০০’ পূর্ণ করেছেন। যা ছিল সত্ত্যিই, দুর্দান্ত। তামিম রান পেয়েছেন এটা যতটা না সুখকর, তামিম যা করতে চেয়েছেন তাই করতে পেরেছেন; এটাই সবচেয়ে বেশি সুখকর এবং স্বস্তির।