নিউজ ডেস্ক »
টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয় ১৪৩ বছর আগে। টেস্ট ক্রিকেটকে বলা হয় ক্রিকেটের প্রাণ। টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ এই পথপরিক্রমায় হয়েছে অনেক রেকর্ড। এক সময় সেটিকে ছাপিয়ে যায় অন্য একটি রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট রক্ষা করতে আবির্ভাব হয় নাইটওয়াচম্যানের। দিনের শেষ দিকে অনেক সময় লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানকে টপ অর্ডারে নামানো হয়। যিনি ব্যাট করতে নামেন তাকেই ‘নাইটওয়াচম্যান’ ব্যাটসম্যান বলা হয়।
নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নেমে ১৪৩ বছর টেস্ট ইতিহাসে কেবল একজন ব্যাটসম্যানই ডাবল সেঞ্চুরির করে রেকর্ড গড়েন। অস্ট্রেলিয়ার পেসার জেসন গিলেস্পি ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে বাংলাদেশে বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে নাইটওয়াচম্যান হয়ে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। আজ এই রেকর্ড গড়ার ১৪ বছর পূর্ণ হলো।
প্রথম দিনে বাংলাদেশ ১৯৭ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষ ভাগে ম্যাথু হেইডেন ২৯ রান করে আউট হন। এরপরই অজি পেসার গিলেস্পি নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামেন। ২৮ রানে অপরজিত থাকে প্রথম দিন শেষ করেন গিলস্পি।
দ্বিতীয় দিনে একটি রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান এই অজি পেসার। নাইটওয়াচম্যান ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের ষষ্ঠবারের মতো সেঞ্চুরি করেন গিলেস্পি। ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের পেসার নাসিম-উল-গনি টেস্ট ক্রিকেটে নাইটওয়াচম্যান ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নেমে শতরানের দেখা পান। তৃতীয় দিন শেষ ১০২ রানে অপরাজিত থেকে করেন গিলেস্পি। অস্ট্রেলিয়া স্কোর বোর্ডে জমা করেন ৩ উইকেটে ৩৬৪ রান।
চতুর্থ দিনে এসে কাঙ্খিত সেই রেকর্ডের দেখা পেয়ে যান গিলেস্পি। বাংলাদেশি বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে প্রথম নাইটওয়াচম্যান ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন গিলেস্পি। ১৪৩ বছরের টেস্ট ইতিহাসে আর কারও এই রেকর্ড নেই। ২০১ রানে অপরাজিত থাকেন গিলেস্পি। ততক্ষনে ৪ উইকেটে ৫৮১ রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষনা করে অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংস ও ৮০ রানে বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে যায়। কিন্তু গিলেস্পির সেই রেকর্ডটি আজও রয়ে গেছে অক্ষত। টেস্ট ক্রিকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। পারলে রেকর্ডটি ভেঙ্গে দেখাও!
নিউজক্রিকেট/এসএমএস