সাজিদা জেসমিন »
লাল বলের ফরম্যাটে অতিরিক্ত না থাকায় ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে সেখানেও দায়িত্ব পালন করতে হয় নেইল ম্যাকেঞ্জিকে। যদিওবা এ ব্যাপারে তার আগ্রহ কম ছিল। বিসিবির অনুরোধে তাই সীমিত ওভারের সাথে এই ফরম্যাটেও দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন তিনি। তবে এভাবেতো বেশিদিন সম্ভব নয়।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ চলাকালীন যেন একজন ব্যাটিং কোচের অভাব কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে বিসিবিকে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মূলত সাদা বলের ফরম্যাটে নিযুক্ত হলেও আমরা লাল বলের ফরম্যাটেও ম্যাকেঞ্জিকে পাচ্ছি। যত দিন না টেস্ট ব্যাটিং কোচ পাচ্ছি, তত দিন এভাবেই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’
অবশ্য এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাও নিয়েছে বিসিবি৷ টেস্ট ফরম্যাটের জন্য ব্যাটিং উপদেষ্টা নিয়োগের কাজ চলছে বলে জানা যায়। তথ্যমতে, সব ঠিকঠাক থাকলে জুন মাসে নির্ধারিত অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরের আগেই এই পদে ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার সঞ্জয় বাঙ্গার যোগদান করতে যাচ্ছেন।
ব্যাঙ্গারের ঝুলিতে রয়েছে ৫ বছর ভারতীয় দলের ব্যাটিং এবং সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা। যা তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তাঁর সাথে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিসিবি প্রধান নির্বাহী এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সঞ্জয় বাঙ্গারই আমাদের একমাত্র বিকল্প নন। আরো কয়েকজন রয়েছেন।’ গত ১২ জানুয়ারি বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সপ্তম সভায় টেস্ট ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে বাঙ্গারের নামই মূলত অনুমোদনের জন্য তোলা হয়। একই দিনে পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের নিয়োগের ব্যাপারেও অনুমোদন দেওয়া হয়।
সেদিন বাঙ্গারের বেতন-ভাতার প্যাকেজ প্রস্তাবে অনাপত্তি জানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াও এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানকে। এই প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে। জানামতে, অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের পূর্বেই তিনি যোগদান করতে যাচ্ছেন।
এ পর্যন্ত উপদেষ্টা পদে কাউকেই পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়া হয়নি৷ বাঙ্গারও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ভারতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচের দায়িত্বও পালন করা সাবেক এই অলরাউন্ডার ২০২০-এর জুন থেকে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১১০ দিনের চুক্তিতে কাজ করতে রাজি হয়েছেন এমনটা শোনা যাচ্ছে ।
নির্দিষ্ট এই সময়ের জন্য বিসিবির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ভারতীয় রুপি। ইউএস ডলারে যা এক লাখ ৮১ হাজারের বেশি। এর মধ্যে কর বাদ দিলে এই তাঁর ১ কোটি রুপি পাওয়ার কথা। দিনপ্রতি তার পিছনে সম্ভাব্য ব্যয় ১ হাজার ৬০০ ইউএস ডলারের বেশি। কর বাদ দেওয়ার পর বাঙ্গারের দৈনিক আয়ের হিসাবও তোলা হয়েছিল বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সেই সভায়। যা ১ হাজার ১৫০ ডলারের বেশি।
সব নিশ্চিত হলে খুব দ্রুতই এই কাজ থেকে মুক্তি মিলবে ম্যাকেঞ্জির। আজ মুমিনুলের নেতৃত্বে দলও সেই সাথে পেতে চলেছেন একজন টেস্ট বিশেষজ্ঞ। যিনি শুধুমাত্র টেস্ট নিয়েই ভাবেন৷ অভিজ্ঞতার বিচারে বলা চলে ভালো একজন ব্যাটিং বিশেষজ্ঞের হাতেই আসতে যাচ্ছে এই দায়িত্ব।