নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
অক্টোবরে টি২০ বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে সাইফুদ্দিন পড়েন নতুন ইঞ্জুরিতে। এই ইনজুরির কারণে বিগত ৫ মাস যাবত মাঠের বাইরে সাইফুদ্দিন। এই সময়ে পাশে পাননি বিসিবিকে, এই বিরতিতে কারো সহযোগিতা না পেয়ে সাইফুদ্দিনের ভাবনা থেকেই সরে গিয়েছে জাতীয় দল।
সাইফুদ্দিন পুনর্বাসনের সময়টা কাটিয়েছেন ফেনীতে, নিজ বাড়িতে। এ সময় জাতীয় দলের কোচিং প্যানেল বা টিম ম্যানেজমেন্টও তার সাথে যোগাযোগ করেননি- এমন দাবি সাইফউদ্দিনের। সহসা ফেরার পথটাও যে সহজ নয়, সেই বাস্তবতা মেনে জাতীয় দল নিয়ে ভাবছেন না এই অলরাউন্ডার।
আগামীকাল থেকে শুরু আবাহনীর টিম প্রাকটিস, এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে খেলবেন সাইফুদ্দিন, দলীয় প্রাকটিস শুরুর একদিন আগেই নিজেকে ঝালিয়ে নিতে আজ একাই অনুশীলন করেন সাইফুদ্দিন। অনুশীলনে এসে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সাথে।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন জাতীয় দলে নেই, তাই জাতীয় দল নিয়ে ভাবনাও নেই। যখন ঢুকব তখন হয়ত চিন্তাভাবনা করব। গত সাড়ে ৫ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম। জাতীয় দলের কোচিং ম্যানেজমেন্ট কেউই আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। তো আমি নিজ থেকে আসলে কী বলব? যদি দল মনে করে আমার প্রয়োজন, তখন আমি জাতীয় দল নিয়ে কথা বলব। এখন আবাহনীতে আছি, মনোযোগ এখানেই।’
তবে কোচদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই সাইফউদ্দিনের। জাতীয় দলের পাশাপাশি আরও নানা প্রোগ্রামে জাতীয় পর্যায়ের কোচ-ট্রেনাররা এখন ব্যস্ত সময় পার করেন। চোট পাওয়া সাইফউদ্দিন দলের সাথে না থাকায় মিরপুরে আনাগোনাও ছিল না। কেন- সেই কারণও ব্যাখ্যা করলেন।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে সবাই-ই তো ব্যস্ত। কেউ বাংলাদেশ টাইগার্স, কেউ জাতীয় দলে, কেউ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। ফেনীতে থাকার কারণ হচ্ছে ওখানে আমি সবসময় নেট বোলার পাচ্ছি, যেখানে যাচ্ছি সবকিছু আগে থেকে প্রস্তুত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সাপোর্ট স্টাফ। সেটা এখানে না থাকলে আমি একা একা কী প্র্যাকটিস করব? বোলিং না হয় একা একা করতে পারব, ব্যাটিং তো করতে পারব না।’‘জাতীয় দলের খেলা ছিল, বায়োবাবলের একটা বিষয় ছিল। হয়ত এই জায়গা ব্যবহার করতে পারতাম না। আসলে একদম ভোরে আসতে হত। সব কিছু চিন্তা করে আসলে মিরপুরে অনুশীলন করা হয়নি।’
আবার জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে এখনি কিছু ভাবছেন না সাইফুদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলা। এখানে খেলে জাতীয় দলে যেতে হবে এমন কিছু ভাবিনি। যা হওয়ার হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে চাই।‘
