জন্টি রোডসের ফিল্ডিংয়ে মুগ্ধ হয়ে ক্রিকেটে ভিলিয়ার্স!

মারুফ ইসলাম ইফতি »

জন্টি রোডস! প্রোটিয়া ক্রিকেটের এক জীবন্ত কিংবদন্তি।ব্যাটিং কিংবা বোলিং দিয়ে নয়, সাবেক এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার সবার কাছে হিরো বনেছেন তার অসাধারণ ফিল্ডিং স্কিলের জন্য।১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনজেমাম-উল হককে রান আউট করার সেই মুহুর্তটা ক্রিকেট বিশ্ব এখনো মনে করে।বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ফিল্ডারদের তালিকা করা হলে এই প্রোটিয়া ক্রিকেটারের নামটি উপরের সারিতে থাকবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। এই প্রোটিয়া কিংবদন্তির অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে মুগ্ধ হয়ে,তার থেকে প্রেরনা নিয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন আরেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার এবিডি ভিলিয়ার্স।

ক্রিকেটে ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত এবিডি ভিলিয়ার্সের এই ক্রিকেটে আসার মূল কারিগর জন্টি রোডস এবং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইনজেমাম-উল হককে করা সেই
ঐতিহাসিক রান আউট।জন্টির সেই রান আউট প্রোটিয়া ক্রিকেটকে দিয়েছে একজন এবিডি ভিলিয়ার্স।জন্টির ফিল্ডিংয়ে মুগ্ধ হয়ে ক্রিকেটে আসার গল্প জানালেন এবিডি ভিলিয়ার্স।

সম্প্রতি গনমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এবিডি বলেন: ছোটবেলা থেকেই জন্টি রোডসের অসাধারণ ফিল্ডিং স্কিলের প্রভাব আমার উপর প্রভাব ফেলে।১৯৯২ সালে বিশ্বকাপে জন্টির সেই রান আউট এখনো আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়।তখন আমার বয়স ছিল ৮ বছর।টিভিতে দেখেছিলাম রান আউটটি, তখন থেকে আমার ভিতরে জন্টির মতো একজন ভাল ফিল্ডার হওয়ার জিদ কাজ করতো।জন্টি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আমার অনুশীলন করতাম আর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করি।

ঘাসের মাঠে অনুশীলন করতাম।জন্টির মতো করার চেষ্টা করে অনেক সময় শরিরের বিভিন্ন স্থান থেকে কেটে রক্ত বের হতো।তবুও আমি সবসময় চেষ্টা করে গেছি একজন ভাল ফিল্ডার হয়ে উঠতে।যদিও আফসোস আমি আমার ক্যারিয়ারে জন্টির মতো কোন রান আউট করতে পারিনি।

নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোর / ইফতি মারুফ

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »