চিটাগংকে হারিয়ে খুলনার শুভসূচনা

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

হাইস্কোরিং ম্যাচের উত্তাপ ছড়ানোর আভাস মিললেও সেই সম্ভাবনায় চিটাগং কিংস জল ঢালতে বসেছিল। প্রতিপক্ষের বোলারদের দাপটে কোণঠাসা হলেও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হারের আগে লড়াই চালায় সাগরপাড়ের দলটি। ৩৭ রানের জয়ে বিপিএলের এবারের আসরে শুভসূচনা পেয়ে গেল খুলনা টাইগার্স।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা পেয়েছে ৪ উইকেটে ২০৩ রানের বড় পুঁজি। জবাবে চিটাগং কিংস ১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রান অলআউট হয়।

খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নাইম শেখ এবং উইলিয়াম বসিস্টো ৩৭ রানের জুটি গড়েন। নাঈম সাজঘরে ফিরলেও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর বাড়িয়ে নেয়ার কাজটা করেন বসিস্টো। তিনি মিরাজের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রান যোগ করেন।

খালেদের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ১৮ বলে ১৮ রান করা মিরাজ। খালেদের ফুল টস ডিপ মিড উইকেটে পাঠাতে গিয়ে ৬ রান করা ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচটি লুফে নেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুন।

একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার বসিস্টো ৩৬ বলে ফিফটির দেখা পান। এর খানিক পর মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন।

মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও ফিরতে পারতেন এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে। যদিও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। ১৬তম ওভারে শামীম হোসেন পাটোয়ারির উপর চড়াও হন, টানা দুটি ছক্কা হাঁকান। এরপরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গেলে টাইমিংয়ে ভুল করেন অঙ্কন, মিড অফ বরাবর বলটি অনেক উপরে উঠে যায়, তবে ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন। বলটি তার হাতে লেগে নাকের উপরে লাগে, ফলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

শরিফুলের ১৭তম ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান অঙ্কন। একটি লং অফ, একটি ডিপ এক্সট্রা কভার এবং একটি ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে মারেন। মাত্র ১৮ বলে আদায় করে নেন ফিফটি।

৪৮ বলে আটটি চার ও তিনটি ছক্কায় অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার বসিস্টো। অঙ্কন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খেলেন ২২ বলে একটি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।

চিটাগংয়ের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট পান আলিস ইসলাম। পেসার খালেদ আহমেদ ২ উইকেট পেলেও খরুচে বোলিংয়ে দেন ৪৫ রান।

২০৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে । দলটি প্রথম বলেই উইকেট হারাতে পারতো চিটাগং। ওশানে থমাসের নো বলের কারণে বেঁচে যান নাঈম ইসলাম। যদিও প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ওশানে থমাসের শিকার হয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে তিনি ফিরে যান।

দ্বিতীয় ওভারে হাসান মাহমুদের শিকার হতে পারতেন উসমান খান। পাকিস্তানি এই ব্যাটার এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান।

ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে সাজঘরে ফেরান আবু হায়দার রনি। ব্যক্তিগত ১৩ রানে চিটাগংয়ের এই ব্যাটার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর রনি বোল্ড করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে চিটাগং অধিনায়ক পরাস্ত হন।

১৮ রান করা উসমান খানের অফ স্টাম্প উপড়ে ফেলেন হাসাম মাহমুদ। হায়দার আলীকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ব্যাটার টম ও’কনেল মাঠে ঢুকতে বেশ সময় নিয়েছিলেন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ টাইমড আউটের আবেদন করেন। যদিও পরে এই ব্যাটারকে ঠিকই ফেরান মিরাজ। যদিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ও’কনেল। নিজের খেলা প্রথম বলেই নাওয়াজের বলে মিড উইকেটে মিরাজের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন।

এরপর বল হাতে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ফেরান মিরাজ। সীমানায় দুইবারের চেষ্টায় দারুণ ক্যাচ নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে নাসুম আহমেদের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন শরিফুল ইসলাম।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »