নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
সবার আশা ছিলো খেলা হবে স্পোর্টিং উইকেটে। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন বিকেলেই জানা গেল স্পিন-টার্নে ভরপুর এমন উইকেটে হচ্ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্ট। ম্যাচের দিন বাংলাদেশের একাদশ দেখে আগের দিনের পাওয়া খবর যে সত্য সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় নি। ধারণা ছিল বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় স্পিনে ঘায়েল হবে আফগান ব্যাটসম্যান আর আনন্দ-উল্লাস করবে টাইগাররা। কিন্তু হলো তার ঠিক উল্টো জিনিস। রশিদ, নবি, কায়েসরা যখন উল্লাসে মত্ত বাংলাদেশ তখন ফলোঅন এড়ানো নিয়েই দুশ্চিন্তায় ছিল।
আফগান স্পিন অ্যাটাক আমাদের চেয়ে বেশ বৈচিত্র্যময়, অন্তত চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দুই দিনের ফলাফল এটাই বলছে। আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস যেখানে ৩৪২ রানে শেষ হয়েছে, বাংলাদেশ সেখানে ১৪৬ রান তুলতেই হারিয়েছে ৮ উইকেট। শেষ দিকে মোসাদ্দেক আর তাইজুলের পার্টনারশিপে মান বাঁচলো কিছুটা হলেও। আর ২য় দিন শেষে টাইগার দলপতি বললেন প্রত্যাশা অনুযায়ী উইকেট পান নি, যেমনটা আশা করেছিলেন এমন উইকেট না এটা।
সাকিবের চোখেমুখে যেন হতাশা পিচ নিয়ে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই খুব অবাক হয়েছি। আমরা এমনটা আশা করি নি। যেমন প্রত্যাশা ছিলো তার ঠিক উল্টো উইকেট এটা। তাই বলে ভালো করা অসম্ভব এটা বলবো না, কিন্তু আসলেই এই উইকেট আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল।”
প্রথম দিনের উইকেটের আচরণ দেখে বলাই যায় স্পিনিং উইকেট না হয়ে ফ্লাট উইকেট হয়েছে। আর আফগানরা ৩৪২ রান করে এটাই প্রমাণ করেছে। তবে এমন ফ্ল্যাট উইকেটে কেন রশিদ-নবিদের বোলিংয়ের সামনে দিশেহারা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, “ফিঙ্গার স্পিনারদের জন্য উইকেটের আচরণ বদলেছে এটা বলা যাবে না। তবে রিষ্ট স্পিনারটা সব সময়ই এমন উইকেট থেকে সাহায্য পেয়ে থাকে। কারণ তাদের নিজেদের মধ্যেই কিছু বৈচিত্র্য থাকে। ফলে তারা একটু বেশিই সুবিধা পেয়ে থাকে উইকেট থেকে।”
পেসার ছাড়া একাদশ বানানোর কারণটাও বেশ খোলামেলা ভাবে বলেছেন টাইগার দলপতি। কারণ তারা জানতেন বাড়তি টার্ন উইকেটে খেলা হবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। এজন্য অধিনায়ক হতাশা ঝেড়েছেন আরো একবার, “আমরা সবাই খুব হতাশ। কিন্তু এখন আর এসব নিয়ে ভেবে তো লাভ নেই। এখান থেকে বেরিয়ে কিভাবে আসা যায় এটাই চিন্তা করতে হবে। আমাদের একাদশ দেখে আপনারাও বুঝতে পারছেন আমরা আসলে চেয়েছিলাম কি? তবে স্বাভাবিকভাবেই অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে সব হয়ে ওঠে না।”