গতবারের টপ পারফর্মার ছন্নছাড়া এবারের বিপিএলে

মমিনুল ইসলাম »

তাসকিন আহমেদকে ভাবা হতো বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের অন্যতম শক্তি তবে হঠাৎই থমকে যান তিনি। তবে বিপিএলের গত আসরে তাসকিন ছিলেন নিজের সেরা ফর্মে যে কারনে ছিলেন দ্বিতীয় উইকেট শিকারি বল। তবে এবারের বিপিএলে এসে দেখা মিললো ছন্নছাড়া তাসকিন আহমেদের মিলছে না একাদশে পর্যন্ত সুযোগ।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে ১২ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। তার থেকে ১ উইকেট বেশি নিয়ে তার উপরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে সেমিফাইনাল আর ফাইনাল কেলার সুযোগ হলে হয়তো এগিয়ে থাকতেন সাকিবের থেকে। বিপিএলে এমন পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে ডাক পান দীর্ঘদিন দলে না থাকা তাসকিন আহমেদের। তবে সুখ আর কপালে সয়নি তাসকিন আহমেদের। ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যান জাতীয় দলের খেলার সুযোগ থেকে।

এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলছেন রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে। তার সাথে দলে রয়েছে আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ম্যাচে জায়গা পেলেও বেশ খরুচে ছিলেন তাসকিন আহমেদ আর ছিলেন উইকেটশূন্য । মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ দলে আসায় একাদশ থেকে ছিটকে যান তাসকিন। তবে আরও এক ম্যাচ সুযোগ পেয়েছিলেন তবে সেখানেও ছিলেন খরুচে ও উইকেটশূন্য। আর তাতেই একাদশের বাহিরে থেকে ছিটকে পড়েন ৫ম ও ৬ষ্ঠ ম্যাচে।

এমন ছন্নছড়া বোলিং নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘ আসলে দুই-একটা বল খারাপ হয়েছে আর সেখান থেকে তারা বাউন্ডারি আদায় করে নিয়েছে। আবার এমনও হয়েছে যে ভালো বল থেকেও বাউন্ডারি এসেছে। ব্যাটিং বান্ধব উইকেট হওয়ায় এবার সবাই খরুচে। তবে এটা অজুহাত দেয়া ঠিক হবে না। আসলে আমারই ব্যর্থতা। ‘

তবে সামনে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার জন্য প্রত্যয়ী তাসকিন। তিনি বলেন, ‘ আসলে শেষ তিন ম্যাচে সু্যোগ পাইনি। তবে এটা ক্যারিয়ারের অংশ। তিনটি ম্যাচে উইকেট পাইনি । আর এটা নিয়ে মন খারাপ করলেও তো হবে না। অনুশীলনে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি সামনে সুযোগ পেলে কাজে লাগনোর চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দিয়ে। ‘

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »