মমিনুল ইসলাম »
জয়ের খোঁজে ছুঁটতে থাকা রংপুর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো চট্টগ্রামের বিপক্ষে। টসে হেরে ব্যাট করে ১৬৩ রান তোলে চট্টগ্রাম আর সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গ্রেগরি ও ফজলে মাহমুদের ব্যাটিংয়ে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ৬ উইকেটের জয় তোলে রংপুর।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর রেঞ্জার্স। ইনিংসের পঞ্চম বলেই নাইম শেখকে ৪ রানে ফেরান রুবেল হোসেন। তৃতীয় ওভারে ফিরেন ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। ৫ বলে ৪ রান করে প্লাঙ্কেটের বলে ফিরেন ডেলপোর্ট। এরপর টম অ্যাবল ও সাদমান হাল ধরার চেষ্টা করলে তাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৩ চারের সাহায্যে ২৪ বলে ২৪ রান করে রুবেলের বলে ফিরে যান।
টম অ্যাবলের বিদায়ের পর ফিরে যান সাদমানও। ২০ বলে ১৬ রান করে মেহেদী হাসান রানার শিকার হন সাদমান। তবে সাদমানের বিদায়ের আর কোন উইকেট পড়তে দেননি গ্রেগরি ও ফজলে মাহমুদ। দুই জনে অপরাজিত থেকে দলকে এবারের আসরের প্রৎম জয় এনে দেন। ৫ ছয় ও ৬ চারের সাহায্যে ৩৭ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন লুইস গ্রেগরি। আর ২ ছয় ও ৪ চারে ৩৮ বলে অপরাজিত থাকেন ফজলে মাহমুদ। শেষ পর্যন্ত ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেন।
এর আগে এই আসরের ১৬তম ও আজকের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর রেঞ্জার্স। ইঞ্জুরির কারণে চট্টগ্রাম পর্বে খেলা হবেনা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। তার পরিবর্তে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরুল কায়েস। রিয়াদের পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মুস্তাফিজের তোপে চট্টগ্রামের শিবিরে আগুন। বোল্ট করে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যান সিমন্সকে(০০) প্যাভিলিয়নে ফিরান। এরপর ইমরুল কায়েস এসে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করলেও, চতুর্থ তম ওভারে গ্রেগরির বলে সাদমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। সপ্তম ওভারে সঞ্জিত সাহার বলে ক্যাচ হতে গিয়ে ফার্নান্দোর ক্যাচ মিস করেন ক্যামেরন। ফার্নান্দো আর নাসির জুটি গড়ার চেষ্টা করতেই নাবীর বলে মুগ্ধের হাতে ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাসির হোসেন(০৯)।
এরপরও চলে ফার্নান্দোর টর্নেডো ইনিংস। ৪টি ছয় এবং ৮টি চার সহ ৪০ বলে ৭২ রান সংগ্রহ করে টর্নেডো ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সঞ্জিত সাহার বলে। ১৪তম ওভারে ওয়ালটন(১৬) ও ফিরে যান। ১৬তম ওভারে আবারো ফিজের এট্যাক। অ্যাবলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মুক্তার আলী(১২)। এরপর আর কেউ তেমন একটা টিকতে পারেনি। ১৯তম ওভারে সোহান(২০) আউট হন মুগ্ধের বলে। ১৬৩ রানের মাঝারি ধরণের সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। জবাবে রংপুর রেঞ্জার্সের প্রয়োজন হয় ১৬৪ রান।
