ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগানো কঠিন ছিল: নাজমুল

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে এশিয়া কাপ জয়ে পেস বোলারদের ভূমিকার ছিল দারুণ ভাবে। পুরো এশিয়া কাপে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মারুফ-বর্ষণ-ইমনরা। যুব দলের পেস বোলিং কোচ নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন অল্প সময়ে সাফল্য বের করে আনার পেছনে গল্পটা ছিল কঠিন। আর সাফল্যের ধারা ধরে রেখে জাতীয় দলের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভালো মানের পেসার তৈরি করাই তার মূল লক্ষ্য।

২০২৩ সালে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সাফল্য দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া এশিয়া কাপের শিরোপা এনে দিয়েছে রাব্বি-শিবলিরা। যুব এশিয়া কাপে ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলাররাও দারুণ ভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে । ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিপক্ষে মাঠের পারফরম্যান্সে পেছনে ফেলেছে জুনিয়র টাইগাররা।

বিশেষ করে পেসাররা এশিয়া কাপ জয়ে অনন্য ভূমিকা রাখে। মারুফ-বর্ষণ-ইমনদের নিয়ে গড়া পুরো পেস ইউনিটকে মাঠের বাইর থেকে সামলেছেন জাতীয় দলে সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন। দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র তিন মাস সময় পেয়ে, তাদের কাছ থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন সেরা পারফরম্যান্স

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই পেস বোলিং কোচ নাজমুল একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন অল্প সময়ে ভালো করার পেছনের গল্পটা মোটেও সহজ ছিল না। ক্রিকেটারদের মানসিক সাপোর্ট দেয়ার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস জোগানো ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জের।

নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমার কিন্তু কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে, চ্যালেঞ্জ এভাবে নিতে হয়েছে যে আমি যখন একটা ছেলেকে গিয়ে একটা কথা বলেছি যখন সে ম্যাচে গিয়ে হয়তোবা বেশি সময় পায়নি কিন্তু সে যখন অনুশীলনে আর ম্যাচে গিয়ে উনি (কোচ) যখন বলছে সাফল্য পাচ্ছি তখন সে (ক্রিকেটার) আস্তে আস্তে বিশ্বাস করা শুরু করছে। এই বিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি করতে আমার একমাস সময় লেগেছে। এই এক মাসে ক্রিকেটারদের ভেতরে ঢুকতে সময় লেগেছে। এই কাজটা আমার কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল।’

আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাট। যুব এশিয়া কাপ জয়ে জুনিয়র টাইগারদের কাছ থেকে প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। তবে নাজমুল হোসেন জানান চ্যাম্পিয়ন হওয়া কিংবা ভালো কিছুর করার চেয়েও জাতীয় দলের জন্য ভবিষ্যতের পেসার প্রস্তুত করাটাই তার মূল লক্ষ্য

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘কাজ আমি এভাবে করে যাচ্ছি যদি আমি… ওয়ার্ল্ড কাপে কি হলো যদি আমি চ্যাম্পিয়নও হই, এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হই কিন্তু দুই তিনটা ছেলে যদি আমি জাতীয় দলে দিতে না পারি তাহলে এই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কিন্তু গুরুত্ব থাকলো না। তিন-চার ক্রিকেটার আমরা জাতীয় দলে…জাতীয় দলে শুধু মাত্র এক-দুই ম্যাচ খেলার জন্য ক্রিকেটার দিয়ে লাভ নাই। যারা ১০-১২ বছর জাতীয় দলে খেলেতে পারবে এমন ক্রিকেটার তৈরির চেষ্টা করছি।’   

জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার মন করেন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বোলিং করেই ভালো পেসার বের হয়ে আসার সুযোগ থাকে।

 

নিউজক্রিকেট২৪/আরএ

 

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »