শোয়েব আক্তার »
আগামী ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিসিবির বোর্ড সভা। নানান গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিসিবির বাৎসরিক কেন্দ্রিয় চুক্তিতে কারা থাকবেন তা চূড়ান্ত করা হবে ওইদিন। কেন্দ্রিয় চুক্তিতে কারা থাককেন সে ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া গেলে ও সাকিব আল হাসান যে থাকছেন না তা পুরোপুরি নিশ্চিত।
গেল বছরের ২৯ অক্টোবর আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ে এখন সব ধররের ক্রিকেট থেকে বাইরে আছেন সাকিব। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারে নিষেধাজ্ঞা উঠবে চলতি বছরের অক্টোবরে। সাকিব যখন ফিরবেন তত দিনে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকবে বা শেষ ই হয়ে যাবে। সেই হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ফিরতে ফিরতে ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সাকিব আল হাসান যেহেতু বছরের বেশির ভাগ সময়ই নিষিদ্ধ থাকবেন, বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁর থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কিন্তু জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চুক্তিতে থাকবেন কি-না—এটি নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আছে। গত বিশ্বকাপের পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন তিনি। অবশ্য গত সাত মাসে মাত্র তিনটি ওডিআই খেলেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ও বাংলাদেশের খুব বেশি ওয়ানডে নেই। ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফর আর বছরের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, এখন পর্যন্ত এই ৯টি ওয়ানডের সূচি আছে বাংলাদেশের সামনে।
বিশ্বকাপ থেকে শোনা যাচ্ছে মাশরাফির অবসরের গুঞ্জন। এমনকি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও গত আগস্টে তাঁকে ডেকে অবসরের ব্যাপারে জানতেও চেয়েছিলেন। মাশরাফি তখন ও পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
যেহেতু মাশরাফি বিন মতুর্জা কিছু বলেননি, তাই তাঁকে রেখেই কেন্দ্রীয় চুক্তি সংযোজন-বিয়োজন করতে চাইছে বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলছেন, ‘সাকিব যেহেতু নিষিদ্ধ আছে তাই, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁর থাকার সম্ভাবনা নেই। আর মাশরাফি থাকবে কি-না সেটা তাঁর ওপরই নির্ভর করছে।’
২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন দলের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার—মাশরাফি বিন মতুর্জা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
‘এ’ ক্যাটাগরির তিন ক্রিকেটার হলেন ইমরুল কায়েস, মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা চার ক্রিকেটার হলেন—মুমিনুল হক, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
এর বাইরে ‘রুকি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল ৫ ক্রিকেটারকে।নতাঁর হলেন- আবু হায়দার রণি, আবু জায়েদ রাহী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাঈম হাসান ও খালেদ আহমেদ।