এভাবে চলতে থাকলে চরম আর্থিক সংকটে পড়বেন সাবেক ক্রিকেটাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক »

করোনা ভাইরাসের দাপটে লকডাউন পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পুরো বিশ্বের মতই, করোনা আতঙ্কে থমকে দাড়িয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন।

মাঠে নেই কোন খেলা। তাই কোচ ও খেলোয়াড়দের অায়ের পথ হয়ে গেছে বন্ধ। সবার, কপালেই পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। আর এক মাস  এমন পরিস্থিতি থাকলে হয়তো চরম অার্থিক সংকটের মধ্যে পড়বে জাতীয় ক্রিকেট দলের বেশ কিছু সাবেক খেলোয়াড়, যাদের অায়ের একমাত্র উৎস প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট ও জাতীয় লীগ। যারা কিনা মাঠের খেলা ছেড়ে বিভিন্ন ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের বিপদটা অারো বেশি।

এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের খেলা শুরু হতে না হতেই  লক ডাউনের ফাঁদে পরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন দেশের নাম করা বিভিন্ন ক্রিকেট ক্লাবের সাথে জড়িত জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোযাড়দের মধ্যে অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, জাতীয় ক্রিকোট দলের সাবেক এক পেসার নিউজ ক্রিকেটের সাথে মন খুলে কথা বলেছেন।

তিনি বলছেন, লকডাউনের অাগে প্রিময়ার লিগে দুই মাস কাজ করে মাত্র তের হাজার পাঁচশত টাকা নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিপ্রিমিয়ারে খেলা ক্লাবগুলো মূলত, প্রথম রাউন্ড শেষ হলেই স্টাফ ও কোচদের চুক্তির টাকার কিছু অংশ পরিশোধ করে থাকে

কিন্তু করোনার ভয়াল থাবায় প্রথম রাউন্ডের একটি ম্যাচ খেলেই ঢাকা ছাড়তে হয়েছে তাদের। তাই ক্লাবের থেকে পাওনা অর্থও  পাবার কোন অাশা করছেন না। ক্লাব কতৃপক্ষের থেকেও এখন পর্যন্ত কোন অাশার বানীও পাননি তারা,তাই কিছুটা হতাশাতেই জীবন যাপন করছেন অনেকেই।

তবে বেশ ভালো আছেন বিসিবির সাথে সরাসরি চুক্তি বদ্ধ কোচ ও খেলোয়াড়রা। তাদের দিকে  অার্থিক সহযোগিতা প্রদানের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিসিবি। তবে ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোচ বা খেলোয়াড়রা কোন দিক থেকেই সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

এমন অবস্থায় নিজেদের জমানো অর্থে এক প্রকার অসহায় অবস্থাতেই  চালাতে হচ্ছে সংসার। ক্লাবগুলোও সহযোগিতা করছে না তাই বেশ বিপাকে পরেছে প্রিমিয়ার লীগ ও জাতীয় লিগের সাথে জড়িত কোচ ও খেলোয়াড়রা।

জাতীয় দলে বেশ কিছু সাবেক খেলোয়ার যারা বর্তমানে বিভিন্ন্য ক্লাবে যুক্ত অাছেন কোচ বা সহকারী কোচ হিসেবে তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিসিবি ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের দিকেই চেয়ে অাছেন তারা।

ক্লাব ও বিসিবি যদি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তবেই স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে জীবন-যাপন করতে পারবেন এই সাবেকরা। তা না হলে চরম অার্থিক সংকটে পড়তে হবে।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »