এখন এক ম্যাচ দেখেই জাতীয় দলে নেয়া হয়

নিউজ ডেস্ক »

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিজ্ঞ দল নিয়ে নাকানিচুবানি খেয়েছিল পাকিস্তান দল। যার ফলে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে তারুণ্য নির্ভর দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। নতুন করে সুযোগ পেয়েছেন নতুন ৯ ক্রিকেটার। আর এ কারণে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাটিং কোচ ইউনিস খান।

 

পাকিস্তানের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স পর্যাপ্ত খেয়াল না করেই নির্বাচকরা খেলোয়ারদের জাতীয় দলে নিচ্ছেন। যে কারণে টেস্ট ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। ফলে এসব ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানিয়ে নিতে না পারার কারণে দ্রুতই হারিয়ে যান বলে জানান তিনি।

 

এ প্রসঙ্গে ইউনিস বলেন,’‘আদর্শগতভাবে জাতীয় দলের জন্য নির্বাচিত হওয়ার আগে একজন খেলোয়াড়ের প্রচুর ক্রিকেট অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। যখন আমরা খেলোয়াড়দের বিষয়ে সফল দলগুলো নিয়ে কথা বলি তখন তারা ১০০টির বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা থাকে। কিন্তু আমরা সেটা মিস করতেছি। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলার পরই আমরা অনেক খেলোয়াড়কে দলে অন্তুর্ভূক্ত করছি। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে আপনার ভূমিকা বুঝে উঠতে এবং এক ফরম্যাট থেকে অন্য ফরম্যাটে রুপান্তর করতে সময় লাগে।’’

 

আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অধিনায়কত্ব পাওয়া বাবর আজমই খেলেছেন ২৯ ম্যাচ। বর্তমানে এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেই ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে ঢাকা হয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”তারা যখন জাতীয় দলে সুযোগ পায় তখনও তাদের ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা কম থাকে। আমরা (ইউনিস, ইনজামাম) যখন শীর্ষ থেকে গ্রেড টু পর্যন্ত প্রচুর ক্রিকেট খেলতাম। তখন এটা আরও কঠিন ছিল। তবে বর্তমান দিনগুলো একেবারে ভিন্ন। একটা ভালো পারফরম্যান্সের পরই জাতীয় দলে সুযোগ পায়। যখন তারা সুযোগ পায় তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের দূর্বলতা দেখা যায়। যার মূল কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে পর্যাপ্ত না খেলা।’’

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »