নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
কেপ টাউনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে দাপট দেখিয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। একদিনেই পড়েছে ২৩ উইকেটে। আর শূন্য রানে ভারতের ৬ উইকেটে তুলে নিয়ে টেস্টে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তাতে প্রথম দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের চেয়ে ৩৬ রানে পিছিয়ে ভারত।
নিউল্যান্ডসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং তোপে প্রথম সেশনে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মাত্র প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। ভেরেন্ন ১৫ ও বেডিংহ্যাম ১২ ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেনি। সিরাজ ১৫ রানে ৬ উইকেট নেন। এছাড়া বুমরাহ ও মুকেশ ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারিয়ে ১১০ রানে ৪ উইকেটে হারায় ভারত। মনে হচ্ছিল বড় লিডের দিকেই এগুচ্ছে ভারত। তবে বিপত্তে বাধে ইনিংসের ৩৪তম ওভারে প্রথম বলে। দলীয় ১৫৩ রানে ৮ রান করা লোকেশ রাহুলকে ফেরান এনগিদি। এরপেই টেস্ট ক্রিকেটের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। পরবর্তী ১০ বলের মধ্যে বাকি সব ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান থেকে প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রানেই অলআউট হয় ভারত।
ভারতের অলআউটের মধ্যদিয়ে টেস্টে বেশ কিছু রেকর্ডের জন্ম দেয়। শূন্য রানে ভারত তাদের শেষ ৬ উইকেট হারায়। প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এবারই প্রথম একই রানে পড়ল কোনো দলের ৬টি উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সাত ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েন যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে আটবার দেখা গেল এমন ঘটনা, ভারতের দ্বিতীয়। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার টেস্টে খালি হাতে ফেরেন ভারতের ছয় ব্যাটসম্যান।
এই টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রধম ইনিংসে খেলেছ ২৩.২ ওভার। আর ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে খেলেছে ৩৪.৫ ওভার। দুই দলের প্রথম ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয় মাত্র ৩৪৯ বল। টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম বলে দুই ইনিংস শেষ হওয়া ঘটনা এর আগে আছে মাত্র একবার। ১৯০২ সালে মেলবোর্নে নিউ ইয়ার টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড দুই দল মিলে প্রথম ইনিংসে খেলেছে মাত্র ২৮৭ বল।
৯৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও বেশি সুবিধা করতে পারেনি। দিন শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬২ রান। মার্করাম ৩৬ ও বেডিংহ্যাম ৭ রানে অপরাজিত আছেন।
নিউজক্রিকেট২৪/আরএ